সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুলিশ লকআপে মৃত্যু ঘিরে উত্তাল বিহার (Bihar)। উন্মত্ত জনতার প্রহারে মৃত্যু হয়েছে এক পুলিশ আধিকারিকেরও। জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে পুলিশের একাধিক গাড়ি। এত কাণ্ডের পর পুলিশের (Bihar Police) দাবি, তাঁদের মারে নয়, মৌমাছির কামড়ে মৃত্যু হয়েছে বন্দির।
বিহারের পশ্চিম চম্পারন জেলায় এক ডিজে দলের সদস্য অনিরুদ্ধ যাদব। শনিবার তাঁকে গ্রেপ্তার করে বেতিয়া থানার পুলিশ। কিছুক্ষণ পর তাঁকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের দাবি, অনিরুদ্ধের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এর পরই পুলিশের উপর চড়াও হয় জনতা। তাঁদের অভিযোগ, হেফাজতে পুলিশের মারে মৃত্যু হয়েছে অনিরুদ্ধর। বদলা নিতে চড়াও হয় তাঁরা।
[আরও পড়ুন: ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনা, তিনটি ভুল ধারণা সম্পর্কে সচেতন করল WHO]
অভিযোগ, বেতিয়ার থানায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে চলে গুলিও। গাড়ি লক্ষ্য করে ছোঁড়া হয় পাথরও। সেই পাথরের ঘায়ে জখম হন বহু পুলিশ কর্মী। যার জেরে মৃত্যু হয় এক পুলিশ কর্মীরও। এ প্রসঙ্গে বেতিয়ার পুলিশ সুপার উপেন্দ্রনাথ শর্মা জানিয়েছেন, “রামযতন সিং নামে এক পুলিশ কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। পরে অবশ্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।”
এদিকে জেল হেফাজতে বন্দি মৃত্যু প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার জানান, থানায় মৌচাক ছিল। সেই মৌমাছির কামড়ে মৃত্যু হয় অনিরুদ্ধর। পুলিশ তাঁকে মারধর করেনি। সঙ্গে সঙ্গে অনিরুদ্ধকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। তবু পুলিশের সাফাই মানতে নারাজ বিহারবাসী।