সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জাতের ভিত্তিতে জনগণনা শুরু করেছে বিহারের মহাজোট সরকার। অনগ্রসর শ্রেণিভুক্ত সাধারণ মানুষের উন্নতির স্বার্থেই এই জনগণনা হচ্ছে বলে দাবি বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের। তাঁর মতে, সমাধান যাত্রা নামে এই উদ্যোগের ফলে সরকারি চাকরিতে সকল সম্প্রদায়ের মানুষ সমানাধিকার পাবেন। সরকারের এহেন পদক্ষেপের তীব্র বিরোধিতা করে সরব হয়েছেন বিহারের (Bihar) রূপান্তরকামী নেত্রী রেশমা প্রসাদ। মানুষের জাতি পরিচয় জিজ্ঞাসা করা আসলে অপরাধ। জাতির ভিত্তিতে জনগণনার অধিকার নেই সরকারের।
গত শনিবারই সমাধান যাত্রা নামে এই জনগণনার সূচনা করেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানিয়েছেন, “এই জনগণনার ফলে রাজ্যের সমস্ত নাগরিকের ধর্ম ও জাতির বিশদ বিবরণ থাকবে সরকারের কাছে। এই জন্য আধিকারিকদের বিশেষ প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে।” চলতি বছরের মে মাসেই এই জনগণনা শেষ হবে বলে জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘রাজনৈতিক রং দেওয়ার চেষ্টা করবেন না’, ধর্মান্তকরণ ইস্যুতে সুপ্রিম তোপে তামিলনাড়ু সরকার]
এই বিষয় নিয়েই মুখ খুলেছেন রেশমা। তিনি বলেছেন, “জাতপাতের সঙ্গে সামাজিক সমতার বিষয়টি একেবারেই খাপ খায় না। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, একজন ব্যক্তির জাতের পরিচয় জিজ্ঞাসা করার অধিকার নেই রাজ্য সরকারের। যদি মানুষের উন্নতির কথাই চিন্তা করে, তাহলে স্পেশ্যাল ম্যারেজ অ্যাক্ট বাতিল করা উচিত। জাতি বা ধর্মের প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনার অর্থ সাম্প্রদায়িকতা ছড়িয়ে দেওয়া।”
সরকারকে একহাত নিয়ে রেশমার দাবি, “এই জনগনণার (Caste Census) কিসের ভিত্তিতে করা হয়েছে, সেই বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত সরকারের। আসলে রাজনৈতিক নেতারা চান, বিহারের সমাজ ব্যবস্থায় জাতের ভেদাভেদ আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠুক। কারণ ভোটের রাজনীতির জন্য জাতের ভেদাভেদকে ব্যবহার করে ফায়দা তোলেন নেতারা। আমি মনে করি, জাতের ভিত্তিতে জনগণনা আসলে আইনত অপরাধ। আমাদের মতো রুপান্তরকামীদের অনগ্রসর জাতির শ্রেণিভুক্ত করা হয়েছে।” প্রসঙ্গত, বিহারের এই জনগণনার ফলে সাম্প্রদায়িক অশান্তি আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা বিজেপির।