সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছেলে রয়েছে জেলে। তাকে মুক্ত করতে থানায় পুলিশ অফিসারের দ্বারস্থ হলেন মহিলা। মুক্তির আশ্বাসও দিয়েছিলেন অফিসার। কিন্তু শর্ত হিসেবে তাঁকে ম্যাসাজ করতে হল ওই আধিকারিককে! বিহারের (Bihar) এমনই এক ঘটনার ভিডিও ভাইরাল (Viral video) হতেই বিপাকে অভিযুক্ত অফিসার। তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, ঘটনাটি বিহারের সহর্সা জেলার। অভিযুক্ত অফিসারের নাম শশীভূষণ সিনহা। তিনি নৌহাট্টা থানার সিনিয়র আধিকারিক। ভাইরাল হওয়া ৩ সেকেন্ডের ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, ঊর্ধ্বাঙ্গ অনাবৃত করে তিনি বসে রয়েছেন থানায়। তাঁর শরীরে ম্যাসাজ করে দিচ্ছেন এক মহিলা। সেই সময় এক আইনজীবীর সঙ্গে ফোনে কথা বলতে দেখা যাচ্ছে ওই অফিসারকে। উল্লেখ্য, ৩ সেকেন্ডের ওই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করে দেখেনি সংবাদ প্রতিদিন।
[আরও পড়ুন: যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিবের সফর চলাকালীন মিসাইল হানা রাশিয়ার]
ভিডিওয় কী কথা বলতে শোনা গিয়েছে ওই অফিসারকে? তাঁকে বলত শোনা যায়, ”এই মহিলা গরিব, অভাবী… কত টাকা পাঠাব আমি? আমরা একটা খামে করে সেই টাকা পাঠিয়ে দেব। দু’জন মহিলা তাঁদের আধার কার্ড নিয়ে আপনার কাছে যাবেন। আমি সোমবার টাকা পাঠাব মোবাইলে দেওয়া ঠিকানাটায়। পাপ্পু বাবু, আমি আপনাকে অনুরোধ করছি। ইতিমধ্যেই আমি ১০ হাজার টাকা খরচ করব।”
তিনি যখন ওই কথা বলছেন, তখন আরেক মহিলাকে দেখা যায় পাশে বসে থাকতে। মনে করা হচ্ছে সম্ভবত ফোনে যে দুই মহিলার কথা বলছিলেন অফিসার, তাঁরা এই দুই মহিলাই। শশীভূষণ আইনজীবীকে টাকা দিয়ে ওই ছেলেটির জামিনের ব্যাপারে বন্দোবস্ত করতেই বলছিলেন। স্বাভাবিক ভাবেই ভিডিওটি ভাইরাল হতেই বিতর্ক তুঙ্গে ওঠে। এরপরই অভিযুক্ত অফিসারকে সাসপেন্ড করেছেন সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার।