সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: SLST নিয়োগ জটের জন্য আইনজীবীদের একাংশকে দায়ী করেছিলেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। নাম না করে নিশানা করেছিলেন বর্ষীয়ান আইনজীবী তথা সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকে (Bikash Ranjan Bhattacharya)। শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনে এসব বলার পর সন্ধেবেলাই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে পালটা জবাব দিলেন তিনি। দুঁদে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যর সাফ কথা, ”চাকরিপ্রার্থীদের কোনও ভবিষ্যৎ নেই যতদিন না বেআইনি নিয়োগ বাতিল হচ্ছে।” তাঁর ব্যাখ্য়া, সরকার নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে সুপার নিউমেরিক পোস্ট বা অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করেছে এবং দাবি করেছে, সব চাকরি থাকবে। নীতি অনুযায়ী তা হয় না। সেই কারণেই নতুন নিয়োগ নিয়ে জট তৈরি হয়েছে।
২০১৬ সালে উত্তীর্ণ কর্মশিক্ষা, শারীরশিক্ষা চাকরিপ্রার্থীরা শেষ ধাপে এসেও চাকরি পাননি এখনও। যোগ্য প্রার্থীদের জন্য সুপারিশপত্র তৈরি হলেও নিয়োগ হয়নি। তার সুরাহা চেয়ে শনিবার দুপুরে তাঁদের ১৬ জন প্রতিনিধি দেখা করেন কুণাল ঘোষের সঙ্গে। আলোচনা হয় উভয় পক্ষের মধ্যে। এর পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কুণাল ঘোষ নিয়োগ জটিলতার জন্য নাম না করে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকে দায়ী করেন। চাকরিপ্রার্থীরা জানান, ন্যায্য চাকরির জন্য আইনি লড়াইয়ে তাঁরা বিকাশবাবুর আপ্তসহায়ককে ২৭ লক্ষ টাকা দিয়েছেন। কিন্তু তার পরও চাকরি পাচ্ছেন না।
[আরও পড়ুন: গঙ্গার তলা দিয়ে মেট্রো অথৈ জলে, প্রশ্নের মুখে যাত্রী নিরাপত্তা]
এ নিয়ে বিকাশরঞ্জনবাবুর পালটা দাবি, যদি অ্যাসিস্ট্যান্টকে টাকা দিয়ে থাকেন, তাহলে তার নথি দেখান। কারণ, তিনি চাকরিপ্রার্থীদের হয়ে মামলা লড়েন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। এটাই তাঁর দাবি। আর তাই ২৭ লক্ষ টাকা নেওয়ার দাবি সম্পূর্ণ অস্বীকার করে তাঁর কটাক্ষ, ”এখন বাজারে একটা কথা খুব শোনা যাচ্ছে – বিকাশবাবুর অ্যাসিস্ট্যান্ট। তো কোন অ্যাসিস্ট্যান্ট টাকা নিয়েছেন, তার নথি দেখান গিয়ে।” তাঁর সাফ বক্তব্য, নীতি মেনেই সরকারকে চাকরি দিতে হবে। তা করতে পারেনি বলে দুর্নীতি আবহে গল্প সাজানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।