সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিলকিস বানো গণধর্ষণ কাণ্ডে দোষীদের জেল থেকে মুক্তি দিয়েছে গুজরাট সরকার (Gujarat)। জেল থেকে বেরনোর পরেই এগারোজন দোষীকে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কার্যালয়ে নিয়ে গিয়ে মালা পরিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া হল। দোষীদের মুক্তি দেওয়া নিয়ে বিতর্কের মাঝেই প্রকাশ্যে এসেছে এই ছবি। সেখানে দেখা যাচ্ছে, গুজরাটে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (Vishwa Hindu Parishad) কার্যালয়ে মালা এবং তিলক পরে বসে আছে দোষীরা। চলতি বছরের শেষের দিকেই গুজরাটে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। সেই কথা মাথায় রেখেই ধর্মীয় মেরুকরণের কাজ চলছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের।
২০০২ সালে গোধরা হিংসার সময়ে গণধর্ষণ করা হয় ২১ বছর বয়সি বিলকিস বানোকে (Bilkis Bano Gang Rape)। দীর্ঘ বিচারের পরে এগারোজন অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেয় মুম্বইয়ের বিশেষ সিবিআই আদালত। চোদ্দো বছর জেলে কাটানোর পরে সাজা মকুব করার আবেদন জানায় রাধেশ্যাম শাহ নামে এক দোষী। সেই আবেদনের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্ট গুজরাট সরকারকে নির্দেশ দেয়, শাস্তির সাজা পুনর্বিবেচনা করতে।
[আরও পড়ুন: ২০২৪ সালের নির্বাচনে বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ! দেশকে ‘এক নম্বর’ করতে প্রকল্প আনলেন কেজরিওয়াল]
প্রথা ভেঙেই এগারোজন দোষীকে মুক্তি দিয়েছে গুজরাট সরকার। স্বাধীনতা দিবসের দিনই জেল থেকে বেরিয়েছে তারা। গোধরা সাব জেলের সামনেই মালা এবং মিষ্টি নিয়ে তাদের মুক্তি উদযাপন করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে কিছুই জানতেন না বলে দাবি করেছেন বিলকিসের স্বামী ইয়াকুব রসুল। তিনি বলেছেন, “কোন সরকার দোষীদের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেই ব্যাপারে কোনও কিছুই জানতাম না।” গুজরাটের বিজেপি সরকারের সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা করে সরব হয়েছে বিরোধীরা।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী টুইট করে বলেছেন, “যারা পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বাকে ধর্ষণ করেছিল, খুন করেছিল ৩ বছরের শিশুকে, তাদের মুক্তি দেওয়া হল স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবে! যিনি নারী শক্তির কথা বলেন তিনি মহিলাদের জন্য কী বার্তা দিলেন? প্রধানমন্ত্রী, গোটা দেশ দেখছে আপনার বলা ও করার মধ্যে কতটা তফাত।” আগামী ডিসেম্বর মাসেই গুজরাটে বিধানসভা নির্বাচন। বিশেষজ্ঞদের মতে, নির্বাচনের কারণেই গোধরা দাঙ্গার স্মৃতি উসকে দিয়ে ফায়দা তুলতে চাইছে বিজেপি।