অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি: পাহাড়ে সম্পর্কের এক জমাট বরফ গলল। সময় লাগল চার বছর। এতদিন পর মুখোমুখি বিনয় তামাং ও বিমল গুরুং। পাহাড়ের রাজনীতিতে নয়া মোড়। বুধবার দার্জিলিংয়ের (Darjeeling) পাতাবং এলাকায় গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা সভাপতি বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে বৈঠক করে ঘরে ফেরার সম্ভাবনা উসকে দিলেন বিনয় তামাং।
তবে বৈঠকের বিষয়ে চুপ থাকলেও বিমল গুরুং (Bimal Gurung) দিল্লিতে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে যাবেন না জানিয়ে বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার পাহাড়ের মানুষের চোখে ধুলো দেওয়ার চেষ্টা করছে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের কথা বলে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে বলেছিলেন পাহাড়ের ১১টি জনজাতিকে তফসিল তালিকাভুক্ত করবেন। কিন্তু এখনও তা হয়নি। এই কেন্দ্র সরকার শুধুমাত্র আশ্বাস ও ভাষণ দেয়।” অর্থাৎ বিমল-বিনয় যেমন দূরত্ব ঘুচিয়ে কাছাকাছি আসছেন তেমনই আবার একদা বিজেপির ছত্রছায়ায় থাকা গুরুং আরও দূরত্ব বাড়াতে চাইছেন বিজেপির সঙ্গে।
[আরও পড়ুন: ফোনে মিলছে না সাড়া, Corona Vaccine-এর প্রথম ডোজ নেওয়ার পর ‘নিখোঁজ’ ৫ লক্ষ মানুষ]
গুরুং ও তামাং যে নৈকট্য বাড়াচ্ছেন তা স্পষ্ট হচ্ছিল, বিনয় (Binay Tamang) তাঁর নামে পরিচিত মোর্চা ছেড়ে যাওয়ার দিন গুরুংয়ের ভূয়সী প্রশংসার পাশাপাশি তাঁদের পতাকা ফেরত দেওয়ায়। এরপরই জল্পনা শুরু হয় পাহাড়ে। কিন্তু বিনয় তামাং এতদিন কিছুই স্পষ্ট করছিলেন না। এদিকে বিমল গুরুংয়ের সুরে তিনিও পাহাড়ের সমস্যা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের আয়োজনকে কটাক্ষ করেছিলেন। তখনই কিছুটা আন্দাজ হচ্ছিল, বিনয় তামাংয়ের ঘরে ফেরা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। বুধবার বৈঠকের পর সেটা স্পষ্ট হল। ২০১৭ সালের জুন মাসের পর ফের মুখোমুখি হন তাঁরা। চার বছর পর একসঙ্গে বৈঠক করে পরবর্তী রণকৌশল ঠিক করেন। যদিও ওই বিষয়ে কেউ মুখ খুলতে নারাজ। তবে একটা বিষয় স্পষ্ট, আগামিদিনে গুরুং ও তামাং একসঙ্গেই পদক্ষেপ করবেন।