সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মেয়ের জন্মের পরই মিলেছিল দুঃসংবাদ! হার্টে দুটো বড় ছিদ্র। ডাক্তারদের কথা শুনে ভেঙে পড়েছিলেন প্রথমটায় মা বিপাশা বসু। পরে মেয়ে দেবীর যখন তিন মাস বয়স, তখন ওপেন হার্ট সার্জারি হয়। মা হিসেবে কীভাবে সেই কঠিন সময় সামলেছেন নিজেকে? সেই অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে গিয়েই লাইভে এসে অঝোরে কেঁদে ফেললেন বিপাশা বসু।
গতবছর নভেম্বর মাসেই মা হয়েছেন বিপাশা বসু। মুম্বইবাসী বঙ্গকন্যার কোল আলো করে জন্ম নিয়েছে ফুটফুটে কন্যাসন্তান। কাজের পাশাপাশি এখন তাঁর নতুন দায়িত্ব। মেয়ের দিকে তাকিয়েই কেটে যায় বিপাশার সময়। সাধ করে বাঙালি ডাকনামও রেখেছেন। ডাকেন ‘মিষ্টি’ বলে। আর খাতায়-কলমে নাম ‘দেবী বসু সিং’। ফুটফুটে কন্যাসন্তানের জন্মের পর একাধিক মিষ্টি মুহূর্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাগ করে নিলেও শুরুর দিকের দিনগুলো কিন্তু ততটাও সুন্দর ছিল না বিপাশা বসুর।
মেয়ের জন্মের পরই ডাক্তারদের কাছে জানতে পেরেছিলেন যে খুদে দেবীর হার্টে বড় দুটো ফুটো রয়েছে। যেগুলো নিজে থেকে সেরে ওঠা অসম্ভব। আর এই বয়সের শিশুর ওপেন হার্ট সার্জারি করাও ভীষণ ঝুঁকির! তিন মাস বয়স অবধি অপেক্ষা করতে হবে। ডাক্তারদের পরামর্শমতো কড়া পর্যবেক্ষণে রেখেছিলেন মেয়েকে। নেহা ধুপিয়া লাইভ চ্যাট শোয়ে এসে সেই কঠিন সময়ের কথা বলতে গিয়েই হাউহাউ করে কেঁদে ফেললেন।
“যে কোন সাধারণ মা-বাবার থেকে আমাদের জার্নিটা অনেকটাই আলাদা। আমার মুখে এই মুহূর্তে যে হাসিটা রয়েছে, সেটা তখন ছিল না। আমি চাই না কোন মায়ের সাথে এমন হোক। সদ্য মা হয়েছি তখন। সন্তান হওয়ার তৃতীয় দিনে জানতে পারি যে জন্মসূত্রে ওর হৃদয়ে দুটি ছিদ্র রয়েছে। একজন নতুন মা হিসেবে…”, বলতে গিয়েই গলা বুজে আসে অভিনেত্রীর। এরপর বিপাশার সংযোজন, “আমি ভেবেছিলাম এই কথাটা কখনও শেয়ার করব না, কিন্তু আ বলছি কারণ, আমি মনে করি অনেক মা আছেন, যারা আমাকে দুর্গম এই জার্নিতে সাহায্য করেছেন এবং সেই মায়েদের খুঁজে পাওয়া খুব কঠিন ছিল। প্রথম পাঁচটা মাস আমার আর করণের খুব কঠিন সময় গিয়েছে।”
[আরও পড়ুন: ‘৫০ শতাংশ বিয়ে ডিভোর্সে গড়ায়…’, সপ্তাহান্তে উপলব্ধি মিমি চক্রবর্তীর]
নেহার শোয়ে বিপাশা আরও বলেন, “তবে দেবী প্রথম দিন থেকেই খুব হাসিখুশি বাচ্চা। তিন মাস পরপর স্ক্যান করিয়ে যখন আমরা দেখি নিজে থেকে সেরে ওঠার কোনও সুযোগ নেই, তক সমস্ত ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলে আমি মানসিক প্রস্তুতি নিই ওর ওপেন হার্ট সার্জারির জন্য। করণ তখনও প্রস্তুত ছিল না। আমার বিশ্বাস ছিল, দেবী খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে ফিরবে। এখন ও অনেক ভাল আছে।”