সুনীপা চক্রবর্তী, ঝাড়গ্রাম: বাবা আদিবাসীদের সামাজিক সংগঠনের প্রথম সারির নেতা ছিলেন। এখন তিন জেলায় সেই সংগঠনের দায়িত্বে তাঁর স্বামী। কিন্তু, পরিবারের কেউ কখনও সক্রিয় রাজনীতি করেননি। ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রে একেবারেই আনকোরা বীরবাহা সোরেনকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। টিকিট পাননি গতবারের জয়ী প্রার্থী উমা সোরেন।

[ তৃণমূলের লোকসভার প্রার্থী লড়াকু মহুয়া, কৌশলী বার্তা মমতার]
গত লোকসভা ভোটে ঝাড়গ্রামে যাঁকে প্রার্থী করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস, তিনিও রাজনীতিতে আনকোরাই ছিলেন। প্রথমবার ভোটে দাঁড়িয়ে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন উমা সোরেন। কিন্তু এবার তাঁকে প্রার্থী করেননি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির উত্থানের কারণেই তফসিলি জাতি সংরক্ষিত এই আসনে শাসকদল প্রার্থী বদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। মঙ্গলবার ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে বীরবাহা সোরেনের নাম ঘোষণা করেছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ঝাড়গ্রামের বিদায়ী সাংসদ উমা সোরেন চিকিৎসক। আর এবার শাসকদলের প্রার্থী বীরবাহা সোরেন শিক্ষিকা। জামবনি ব্লকের ছোটবনসর গ্রামে বাপের বাড়ি বীরবাহার। তাঁর বাবা পদ্মলোচন সোরেন আদিবাসীদের সর্বভারতীয় সামাজিক সংগঠনের এ রাজ্যের প্রধান ছিলেন। সাঁকরাইলের রোহনী উচ্চমাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রে শাসকদলের প্রার্থী। শারীর শিক্ষায় স্নাতকোত্তর তিনি। স্বামী রবিন টুডু আদিবাসীদের সামাজিক সংগঠনের তিন জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা। ভোটে জেতার বিষয়ে রীতিমতো আত্মবিশ্বাসী বীরবাহা সোরেন। ঝাড়গ্রামে শাসকদলের প্রার্থী বলেন, ‘আমি রাজনীতির বাতাবরণে বড় হইনি। কিন্তু রাজনীতিকেও গুরুত্ব দেওয়া দরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উন্নয়নের কান্ডারি। তাঁর সহযোদ্ধা হতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি।’ ভোটে জিতলে আদিবাসীদের শিক্ষার বিষয়টিকেই সবথেকে বেশি গুরুত্ব দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। এদিকে ঝাড়গ্রামে শাসকদলের নতুন প্রার্থীকে নিয়ে বিদায়ী সাংসদ উমা সোরেনের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
ছবি: প্রতীম মৈত্র
[ ‘স্বামীর অসম্পূর্ণ কাজ শেষ করতে চাই’, প্রতিজ্ঞা নিহত বিধায়কের স্ত্রীর]
The post রাজনীতিতে নতুন মুখ, ঝাড়গ্রামে শাসকদলের প্রার্থী বীরবাহা সোরেন appeared first on Sangbad Pratidin.