নন্দন দত্ত, সিউড়ি: রাতে বীরভূমের জাতীয় সড়ক দুষ্কতীদের দখলে! অভিযানে নামল পুলিশ। শুক্রবার ইলামবাজার থেকে সিউড়ি ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কজুড়ে পুলিশ অভিযান শুরু করতেই ধরা পড়ল পাচারকারীরা। দেখা গেল, অবৈধ কয়লা, গরু, বালি সব যাচ্ছে জাতীয় সড়ক ধরে। বীরভূমের (Birbhum) রাস্তা যেন পাচার করিডোর!
পুলিশের গাড়ি পালটে অন্য গাড়ি আর সামান্য কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে শুক্রবার রাতে অভিযানে নামে এনফোর্সমেন্ট বিভাগের ডি এস পি। ইলামবাজার থানা এলাকা থেকে প্রথমে ধরা পরে গরুবোঝাই গাড়ি। উল্লেখ্য, পুলিশ অভিযানে চালালেই আগেভাগে খবর পেয়ে যেত দুষ্কৃতীরা। পালটে ফেলত তাদের গতিবিধি। তাই শুক্রবার রাতে সাধারণ গাড়ি আর নিজের নিরাপত্তাকর্মীকে নিয়েই অভিযানে বেড়িয়ে পড়েন এনফোর্সমেন্ট বিভাগের ডি এস পি স্বপন চক্রবর্তী।
মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ যে সত্যি সেটা কয়েকঘন্টার অভিযানেই উপলব্ধি হল জেলা পুলিশ কর্তাদের। ভোর তিনটে নাগাদ ইলামবাজার থানার ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর একটি পিক আপ ভ্যান আটক করে। তাতে ছিল ১৩ টি গরু। বর্ধমান থেকে জয়দেব মোড় হয়ে অবৈধ গরু বোঝাই গাড়ি আসছিল। সঙ্গে থাকা পাঁচজনকে আটক করে পুলিশ।
হেতমপুর এলাকায় ধরা পরে আট কুইন্টাল কয়লা। মোটর বাইকে করে কয়লা পাচার করছিল। সেগুলি দুবরাজপুর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়। একজন পালিয়ে যায়। একজনকে তাড়া করে পেট্রল পাম্পের কাছে ধরে ফেলে পুলিশ। সদাইপুর থানার বাঁধেরশোল মোড়ে দুটি ওভারলোডেড বালিবোঝাই ট্রাক মুর্শিদাবাদ যাচ্ছিল। দুবরাজপুরের লোবা গ্রামে অজয় নদের ঘাট থেকে অবৈধভাবে বালি বোঝাই করেছিল। সিউড়ি থানার মিনিস্টিলের কাছে ২৬ টি গরু বোঝাই পিক আপ ভ্যান ধরা পরে ভোরবেলা। বাঁকুড়া থেকে চালান ছাড়া গরুবোঝাই পিক আপ ভ্যানটি মুর্শিদাবাদের দিকে যাচ্ছিল। সঙ্গে থাকা দুজনকে গ্রেপ্তার করে সিউড়ি থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়।
ডি এস পি স্বপন চক্রবর্তী বলেন, "জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে আমাদের প্রতিরাতে নিয়মিত অভিযান চলে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেও পাচারকারীদের এমন বেপরোয়া ব্যবহগার দেখে আমরা স্তম্ভিত। রাতের অন্ধকারে জাতীয় সড়ক ধরে অবৈধ গরু বালি কয়লা রুখতে আরও বড়সড় অভিযানে নামবে জেলা পুলিশ।