বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: নবান্ন-রাজভবন সংঘাত ইস্যুতে সরাসরি রাজ্যপালের পাশে দাঁড়াল বিজেপি ও বামেরা। দেশের গণতন্ত্রের অভূতপূর্ব ঘটনা বলে মনে করেন বিজেপি (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সরকার কখনো রাজ্যপাল কে অস্বীকার করতে পারে না বলে মনে করেন সিপিএম (CPM) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী। আবার যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় রাজ্যের সাংবিধানিক ও প্রশাসনিক প্রধানের মধ্যে সংঘাত কখনোই কাম্য নয় বলে মনে করেন রাজ্যের প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান।
রাজভবনের সঙ্গে নবান্নের সংঘাতে এবার তাৎপর্যপূর্ণ মোড়। সোমবার রাজ্যপালকে টুইটারে (Twitter) ব্লক করেছেন বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে সঙ্গে পালটা টুইট করে জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar)সংবিধানকে ব্লক করা যাবে না বলে কটাক্ষ করেন। রাজ্যের দুই প্রধানের সংঘাতকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। সরাসরি রাজ্যপালের পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্যের গেরুয়া শিবির। দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কথায়, ”রাজ্য সরকার সংবিধানের উর্ধ্বে নয়। রাজ্যপালের টুইটার আকাউন্ট মুখ্যমন্ত্রী ব্লক করেছেন। দেশের গণতন্ত্রে এটা অভূতপূর্ব ঘটনা। এর আগে কোনও রাজ্যে হয়নি। সংবিধানের রক্ষাকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রী ও আধিকারিকদের কাছে যে প্রশ্ন করতেন সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে না পারার ভয়েই মুখ্যমন্ত্রী এটা করেছেন।”
[আরও পড়ুন: রাজ্যে স্কুল-কলেজ খোলা ‘রাজনৈতিক জয়’, লাগাতার আন্দোলনে সাফল্যের দাবি এসএফআই-এর]
রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের মতো কার্যত রাজ্যপালকে সমর্থন করেছে বাম নেতৃত্ব। সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর মতে, বামেরা রাজ্যপাল পদের বিরোধী। যেহেতু এই পদের বিলুপ্তি হয়নি, তাই তার অধিকারকে মান্যতা দিতেই হবে বলে মনে করেন তিনি। সেই সঙ্গে সুজনের আরও বক্তব্য, রাজ্যপাল রাজ্য মন্ত্রিসভার নিয়োগপত্র দেন। ফলে সংবিধান অনুযায়ী রাজ্যপালের গুরুত্ব রয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে সরকার তা মানতে বাধ্য।
[আরও পড়ুন: পড়ুয়াদের জন্য সুখবর, সরস্বতী পুজোর আগেই রাজ্যে খুলছে স্কুল-কলেজ]
যদিও এই সংঘাতের আবহ চললে আদতে রাজ্যেরই ক্ষতি বলে মনে করেন কংগ্রেস নেতা আবদুল মান্নান। তাঁর দাবি, কংগ্রেস শাসিত রাজ্যেও বর্তমান রাজ্যপালরা সেখানকার সরকারকে বিরক্ত করছে। কিন্তু সেখানে সরকার সংঘাতে না গিয়ে সংবিধানকে মর্যাদা দিয়ে কাজ করছে। এখানেও দুই প্রধান যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে অক্ষুন্ন রাখতে এবং রাজ্যের স্বার্থে পারস্পরিক সহযোগিতার মধ্য দিয়ে কাজ করলে মানুষের কল্যাণ হবে বলে মনে করেন আবদুল মান্নান।