বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: দাঙ্গায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামীর মেয়েকে প্রার্থী করল বিজেপি (BJP)। আহমেদাবাদ শহরের নরোদা কেন্দ্র থেকে দাঙ্গাকারী বলে বলে পরিচিত মনোজ কুকরানির মেয়ে পায়েলকে প্রার্থী করেছেন নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহরা (Amit Shah)। পদ্ম তালিকায় তাঁর নাম ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। গেরুয়া শিবিরের এই সিদ্ধান্তে দাঙ্গাবাজরা উৎসাহিত হবে বলে সমালোচনায় সরব হয়েছে কংগ্রেস ও আপ। যদিও বিষয়টি নিয়ে এখনও মুখ খোলেনি বিজেপি নেতৃত্ব। অন্যদিকে, শনিবার হিমাচলে ভোট। তার আগে হিমাচল ও গুজরাট (Gujarat) থেকে রেকর্ড পরিমান কালো টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
আজ থেকে প্রায় ২১ বছর আগের এক দাঙ্গার ঘটনা গোটা দেশকে এখনও নাড়িয়ে দেয়। সবরমতি এক্সেপ্রেসে আগুন লাগানোর ঘটনার পর ২৮ ফেব্রুয়ারি বজরং দলের সমর্থকরা নরোদা হাইওয়েতে জমায়েত হয়ে পটিয়া এলাকায় সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ করে। এই দাঙ্গার ঘটনায় ৯৭ জনের মৃত্যু হয়। দাঙ্গার ঘটনায় গ্রেপ্তার হন মূল অভিযুক্ত মনোজ কুকরানি। দীর্ঘদিন মামলা চলাকালীন তাঁকে যাবজ্জীবন সাজা দেয় আদালত। যদিও এখন তিনি জামিনে মুক্ত রয়েছেন।
[আরও পড়ুন: ইউক্রেনের ভারতীয় পড়ুয়ারা পড়াশোনা শেষ করুক রাশিয়ায়, ‘বন্ধু’ ভারতকে প্রস্তাব মস্কোর]
জামিনে মুক্ত হওয়ার পর থেকেই এলাকায় বিজেপির সঙ্গে যুক্ত হন। এলাকার প্রভাবশালী নেতা বলেই পরিচিত। কুখ্যাত মনোজের মেয়ে পায়েলকে এবার প্রার্থী করেছে গেরুয়া শিবির। দাঙ্গায় অভিযুক্ত ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত একজন আসামীর মেয়েকে কেন বিজেপি প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নিল তা নিয়ে সরগরম রাজনৈতিক মহল। কংগ্রেসের অভিযোগ, ভোটারদের মধ্যে ভীতিপ্রদর্শনের জন্যই এমন সিদ্ধান্ত। সেইসঙ্গে ভোটের আগে পুরনো ঘটনাকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে সুকৌশলে ধর্মীয় ভাবাবেগকে উসকে দিতেই মোদি-শাহরা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে অভিযোগ কংগ্রেসের (Congress)।
[আরও পড়ুন: মুক্তি পেয়ে গেল রাজীব হত্যায় দোষী নলিনী-সহ ৬, সাজা মকুব সুপ্রিম কোর্টের]
অন্যদিকে, ভোটের আগেরদিন পর্যন্ত হিমাচল প্রদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রায় ৫১ কোটি কালো টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। গত বিধানসভা নির্বাচনের তুলনায় এই টাকার অঙ্ক প্রায় পাঁচগুণ বলে জানিয়ে কমিশন। এছাড়াও বিপুল পরিমানে মাদক ও মদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলেও জানায় কমিশন। আবার এক সপ্তাহ হয়েছে গুজরাটের নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়েছে। এখনও সব দল পুরো প্রার্থী তিালিকা ঘোষণা করতে পারেনি। তারমধ্যেই এখনও পর্যন্ত প্রায় ৭২ কোটি কালো টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই টাকা ভোটের কাজে ব্যবহার করা হতো। ১৭ সালে নির্বাচনের দিন ঘোষণা থেকে শেষ পর্যন্ত বাজেয়াপ্ত করা কালো টাকার পরিমান ছিল ২৭ কোটি। এবার এখনই প্রায় তিনগুন কালো টাকা বাজেয়াপ্ত হয়েছে।এই পরিমান কয়েকশো কোটি ছাড়িয়ে যাবে বলে অনুমান কমিশনের।