রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: সব ঠিক থাকলে কলকাতা ও হাওড়া পুরসভার নির্বাচন (West Bengal Civic Polls) হতে চলেছে ডিসেম্বরে। অথচ সেই নির্বাচনকে সামনে রেখে ওয়ার্ডভিত্তিক কমিটি করার কাজ এখনও শেষ করে উঠতে পারেনি বিজেপি। ওয়ার্ডে ভোট প্রচার থেকে শুরু করে সমস্ত কাজই করবে এই ওয়ার্ড কমিটি। অধিকাংশ ওয়ার্ডের কমিটি তৈরির কাজ শেষ না হওয়ায় এলাকায় প্রচারের কৌশল কিংবা কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে বৈঠকের কাজও পিছিয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কর্মীদের চাঙ্গা করতে রাজ্যে আসতে পারেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার পরই পুরভোটের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবে গেরুয়া শিবির। মধ্য কলকাতায় তিনটি বিধানসভা মিলে গঠিত নির্বাচন কমিটির আহ্বায়ক বিজেপি নেত্রী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের (Priyanka Tibrewal) দাবি, খুব দ্রুত ওয়ার্ডে নির্বাচনী কমিটি তৈরি হয়ে যাবে। বিজেপি প্রস্তুত লড়াইয়ের জন্য। এদিকে, দিল্লিতে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার (JP Nadda) সঙ্গে সম্প্রতি দেখা করেছেন সাংসদ সৌমিত্র খাঁ (Soumitra Khan) ও দলের কেন্দ্রীয় সম্পাদক তথা বোলপুরের প্রাক্তন সাংসদ অনুপম হাজরা। দলীয় কর্মীদের উপর শাসকদল সন্ত্রাস চালাচ্ছে বলে বিজেপির দুই নেতাই অভিযোগ করেছেন নাড্ডার কাছে। পুর নির্বাচনের আগে বাংলায় দলীয় কর্মীদের মনোবল বাড়াতে কেন্দ্রীয় নেতারা আসতে পারেন বলে সূত্রের খবর। ডিসেম্বরের শুরুতে একাধিক কেন্দ্রীয় নেতার রাজ্যে আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: Duare Ration: ‘বাংলার প্রকল্প অন্য রাজ্যের জন্য মডেল’, ‘দুয়ারে রেশনে’র উদ্বোধনে দাবি মুখ্যমন্ত্রীর]
এদিকে, সব পুরভোট একসঙ্গে করার দাবিতে কলকাতা হাই কোর্টে একটি মামলা হওয়ায় কবে বিজ্ঞপ্তি জারি হবে তা নিশ্চিত নয়। এ সম্পর্কে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, “কেন দু’টি পুরসভা নিয়ে ভোট হবে। কলকাতা-হাওড়া ছাড়া অন্য জায়গার মানুষের কি অধিকার নেই জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করার। স্বাভাবিকভাবেই কোর্টে প্রশ্ন উঠেছে। সব জায়গায় ভোট হোক এটা আমরা চাই। বারে বারে নির্বাচন কেন? রাজনৈতিক কারণেই এটা করছে তৃণমূল।”
এদিকে, রেল যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য কমিটির সদস্য তথা রাজ্য বিজেপি নেতা অভিজিৎ দাস রেল বোর্ডের থেকে প্রতি মাসে সান্মানিকবাবদ অর্থ ভোট পরবর্তী হিংসায় দলের ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য তহবিলে দিয়েছেন। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের হাতে তিনি চেক তুলে দেন।