রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: রাজ্যে স্বচ্ছ, সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল বিজেপি (BJP) প্রতিনিধিদল। নির্বাচন কমিশনে আগেই এ নিয়ে একাধিকবার অভিযোগ জানিয়েছিলেন তাঁরা। এবার লালবাজারে গিয়ে কলকাতার পুলিশ কমিশনার (CP) সৌমেন মিত্রর সঙ্গে দেখা করে এই অভিযোগ আরও স্পষ্ট করে তুলে ধরলেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত, বিজেপি নেতা সব্যসাচী দত্তরা। পোস্টাল ব্যালট চুরি হতে পারে, এই আশঙ্কা জানিয়ে স্মারকলিপি জমা দিলেন বিজেপি প্রতিনিধিরা।
বঙ্গে ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশিত হওয়ার ঠিক পরদিনই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ে গিয়েছিলেন স্বপন দাশগুপ্ত, সব্যসাচী দত্তরা। পক্ষপাতদুষ্ট পুলিশ আধিকারিক, কর্মীদের ভোটের কাজ থেকে সরানো হোক, এই আবেদন ছিল তাঁদের। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বিজেপি নেতারা এই অভিযোগও তুলেছিলেন যে দুর্নীতিগ্রস্ত পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে বলার জন্য কলকাতার পুলিশ কমিশনারের কাছে সময় চাইলেও, তা মিলছে না। এরপর সোমবারই সিপি সৌমেন মিত্র বিজেপি প্রতিনিধিদলকে দেখা করার সময় দেন। লালবাজারে তাঁর সঙ্গে দেখা করার পর বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে স্বপন দাশগুপ্ত জানান, ”ভোটে নানা কারচুপির আশঙ্কা করছি আমরা। তার মধ্যে পোস্টাল ব্যালট উধাও হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এসব আমরা কমিশনারকে জানিয়েছি। তিনজন পুলিশ অফিসারের নাম করে জানিয়েছি যে তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হোক। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনও কাজে যুক্ত করা যাবে না।” এসব জানিয়ে বিজেপি প্রতিনিধিদলটি সিপিকে একটি স্মারকলিপিও জমা দিয়েছে।
[আরও পড়ুন: একুশের ভোটে তৃণমূলকে নৈতিক সমর্থন সমাজবাদী পার্টির, লিখিত বার্তা অখিলেশের]
একুশে বঙ্গে ৮ দফায় ভোট হবে, নির্বাচন কমিশনের এই ঘোষণার আগেই অবশ্য রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে পৌঁছেছিল। কলকাতাতেও বেশ কিছু বাহিনী রুটমার্চ শুরু করেছে। বিজেপির দাবি মেনেই স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে টহলদারির জন্য ভোট ঘোষণার আগে থেকে তাঁদের মোতায়েন করা হয়েছে বলে খবর। তা সত্ত্বেও বিজেপির নানা অভিযোগ জানিয়ে চলেছে। তবে এবার বাংলার ভোট সুষ্ঠুভাবে করাটা কার্যত চ্যালেঞ্জের নির্বাচন কমিশনের কাছে।