ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) বিরুদ্ধে ঠান্ডা মাথায়’ বিজেপি কর্মীকে খুনের অভিযোগ। এই অভিযোগ নিয়ে বুধবার নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, মৃত বাপি কোঁড়ার পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে তৃণমূল। অনুব্রত মণ্ডলকে আটকাতেই বিজেপি এই মিথ্যা অভিযোগ করছে বলে পালটা সরব হয়েছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।
ইলামবাজার থানার ধরমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নান্দার গ্রামের বাসিন্দা বাপি আঁকুড়(২৬) খুন হন। সোমবার কাজে বেরিয়ে আর বাড়ি ফেরেননি বাপি। মঙ্গলবার সকালে গ্রামের বাসিন্দারা তাঁর মৃতদেহ শাল নদীর চরে পড়ে থাকতে দেখে। বাড়িতে বাবা, মা ছাড়াও বাপির স্ত্রী এবং এক সন্তান রয়েছে। বিজেপি অভিযোগ করে, এই ঘটনায় তৃণমূল কর্মীরা যুক্ত। তারাই চক্রান্ত করে এই খুন করিয়েছে।
[আরও পড়ুন : বিজেপিকে রুখতে নয়া কৌশল, লালগড়ে দাঁড়িয়ে ‘বামবন্ধু’দের পাশে চাইলেন মমতা]
অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) ছাড়াও অভিযোগ তোলা হয়েছে ইলামবাজারের তৃণমূল নেতা ফজলুল রহমান, দুলাল রায়, শেখ শওকত, মজিউর রহমানের বিরুদ্ধে। বিজেপির আরও অভিযোগ, ইলামবাজার থানার ওসি নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করছে না। গত এক মাসের মধ্যে ইলামবাজার থানা এলাকায় একাধিক বিজেপি কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
এই বিষয়ে অনুব্রত মণ্ডল আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, কীভাবে মারা গিয়েছে তা ময়নাতদন্ত হলেই জানা যাবে। পুলিশ তদন্ত করছে। বিজেপির জেলা সহসভাপতি বলাই চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ইলামবাজারের বিজেপি কর্মী বাপী আঁকুড়েকে পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনে অনুব্রত মণ্ডল-সহ একাধিক তৃণমূল নেতার অভিযোগ করা হয়েছে।”
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার মৃত বাপি আঁকুড়ের বাবা নির্মল আঁকুড়ে ৫ জনের নামে ইলমবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগপত্রে ফজলুল রহমান, দুলাল রায়, শেখ শওকত, মজিউর রহমানের নাম রয়েছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এদিন নান্দার গ্রাম থেকে দুজকে আটক করে পুলিশ।