সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চোট নিয়ে শুরু হয়ে গেল রাজনৈতিক তরজা। রাজ্যে নির্বাচনের ঢাকে কাঠি পড়লেই কেন পায়ে আঘাত পান মুখ্যমন্ত্রী? একসুরে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। মমতার চোট নিয়ে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি সুকান্ত মজুমদার, মহম্মদ সেলিম।
জলপাইগুড়ি থেকে ফেরার পথে দুর্যোগের কবলে পড়ে মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার। জরুরি অবতরণের সময় পা ও কোমরে চোট পান মমতা (Mamata Banerjee)। কলকাতায় ফিরে নিজের গাড়িতে চেপেই সোজা চলে যান এসএসকেএম হাসপাতালে। হাসপাতালে ঢোকার পথে হুইলচেয়ার না নিলেও তাঁকে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটতে দেখা যায়। অর্থাৎ তাঁর হাঁটার সমস্যা স্পষ্ট ধরা পড়ে ক্যামেরায়। তাঁর চোট কতখানি গুরুতর, তা জানতে বেশ কিছু পরীক্ষা করে দেখছেন চিকিৎসকরা। তবে মমতার চোট নিয়ে খোঁচা দিতে শুরু করে দিয়েছেন বিরোধী নেতারা।
[আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত মিটলেই ফের ভোট বাংলায়, জুলাইয়ের শেষে রাজ্যসভার ৬ আসনে নির্বাচন]
রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের প্রশ্ন, “ভোট এলেই কেন বারবার পায়ে আঘাত পান মুখ্যমন্ত্রী? বারবার পায়ে চোট মানেই শুভ লক্ষণ নয়,” এরপরই যোগ করেন, “সবথেকে বড় চোট কোথায় জানেন, তা নিয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী যা বলেছেন, তাতে মুখ্যমন্ত্রীর রক্তচাপ বাড়ার কথা ছিল।” তবে মুখ্যমন্ত্রীর দ্রুত সুস্থতাও কামনা করেন সুকান্ত। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের গলাতেও একই সুর। বলেন, “মাটিতে পা রেখে চলতে শিখুন। নির্বাচনের আগে দুর্ঘটনা কেন হয়?”
উল্লেখ্য, এর আগে একুশের বিধানসভা ভোটের প্রচারে পা ভেঙেছিল মুখ্যমন্ত্রীর। ২০২১-এর ১০ মার্চ নন্দীগ্রামে আহত হন তিনি। সে সময় চোটের জন্য বিজেপিকেই কাঠগড়ায় তুলেছিলেন তিনি। এরপর পায়ে প্লাস্টার নিয়ে হুইলচেয়ারে বসেই রাজ্যজুড়ে নির্বাচনী প্রচার চালান মমতা। বিরোধীদের উদ্দেশে সেসময় হুঙ্কার দিয়েছিলেন, ‘ভাঙা পায়ে খেলা হবে।’ এবার উত্তরবঙ্গে প্রচারে গিয়ে চোট পাওয়ায় সেই স্মৃতিই ফিরল বঙ্গ রাজনীতিতে।