সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিদ্রোহ সামাল দিতে গুজরাটে (Gujarat) গণ হারে দলীয় নেতাদের সাসপেন্ডের পথে বিজেপি (BJP)। হিমাচলের (Himachal Pradesh) মতোই গুজরাটেও টিকিট না পাওয়া গেরুয়া নেতারা দলের বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী হয়ে ভোটে দাঁড়াচ্ছেন। এমন ১২ নেতাকে মঙ্গলবার সাসপেন্ড করল বিজেপি। এদের মধ্যে একজন ছ’বারের বিধায়ক, দু’জন গতবারের বিধায়ক। টিকিট না পেয়ে এক ডজন নেতা গতকাল নির্দলের মনোনয়ন জমা দেন নির্বাচন কমিশনে। এর পরই তাঁদের সাসপেন্ড করে গুজরাট বিজেপি।
এর ফলে গুজরাটে মোট ১৯ জন বিদ্রোহী গেরুয়া নেতাকে সাসপেন্ড করা হল। এঁদের আগামী ছয় বছরের জন্য ছেঁটে ফেলা হল দল থেকে। আগামী ১ ডিসেম্বরে গুজরাটে প্রথম দফা নির্বাচন হবে। টিকিট না পেয়ে প্রথম দফার ভোটে দাঁড়াতে ৭ গেরুয়া নেতা নির্দল হিসেবে মনোনয়ন জমা দেন। এর পরই দল থেকে বহিস্কার করা হয় তাঁদের। আগামী ৫ ডিসেম্বরে দ্বিতীয় দফা ভোটে দাঁড়াতে ১২ বিদ্রোহী গেরুয়া নেতা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন, এবার তাঁদেরও ছেঁটে ফেলা হল। পরিসংখ্যান বলছে, এর ফলে ১৮২ বিধানসভার গুজরাট ভোটে ১০ শতাংশ আসনে বিজেপি প্রার্থীকে লড়তে হবে দলীয় নেতাদের সঙ্গেও। উল্লেখ্য, দল কড়া সিদ্ধান্ত নিলেও, খোদ অমিত শাহ ছাঁটাই অভিযান চালালেও নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া থেকে সরেননি ওই ১৯ বিদ্রোহী নেতা।
[আরও পড়ুন: মিরাটের নাম পালটে নাথুরাম গডসে নগর! নির্বাচনী ইস্তেহারে দাবি হিন্দু মহাসভার]
প্রসঙ্গত, প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হতেই গুজরাট বিজেপির অন্দরের ক্ষোভ কার্যত বিদ্রোহে পরিণত হয়েছিল। টিকিট না পেয়ে নির্দল প্রার্থী হয়ে দাঁড়াতে শুরু করেন একাধিক প্রাক্তন বিধায়ক। বিদ্রোহ সামাল দিতে সক্রিয় হতে হয় অমিত শাহ (Amit Shah) ও জে পি নাড্ডাদের (JP Nadda)। আমেদাবাদ ছুটে যান গেরুয়া শিবিরের হেভিওয়েট নেতারা। মূলত নতুন মুখ, দলবদল করে আসা কংগ্রেস (Congress) ও নির্দলদের প্রার্থী করতে গিয়ে ৩৮ জন বিধায়ককে বাদ দেন মোদি-শাহরা। তাতেই বিপত্তি। বিদ্রোহ সামাল দিতে না পারলে এর প্রতিফলন ভোটবাক্সে পড়া নিশ্চিতই।
[আরও পড়ুন: অর্থের বিনিময়ে রাহুলের ভারত জোড়ো যাত্রায় অভিনেতারা, দাবি বিজেপির, পালটা দিল কংগ্রেসও]
উল্লেখ্য, ভদোদরার ছ’বারের বিধায়ক মধু শ্রীবাস্তবকে এবার টিকিট দেয়নি পদ্মশিবির। তালিকা প্রকাশ হতেই নির্দল হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রবীণ বিধায়ক। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে শাহর দূত হয়ে ভদোদরা যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হর্ষ সাংভি। তাঁর সঙ্গে দেখা করা দূর অস্ত, উল্টে দলের রাজ্য কার্যালয়ের সামনে তুমুল বিক্ষোভ দেখান শ্রীবাস্তব ও অনুগামীরা। রাজ্য দপ্তরের সামনে পুলিশ পিকেট বসাতে হয়। বিক্ষুব্ধ প্রাক্তন বিধায়ক জানান, কর্মী-সমর্থকরা তাঁকে নির্দল প্রার্থী হয়ে লড়তে বলেছেন। তাঁদের দাবিকে গুরুত্ব দিতেই তিনি লড়বেন। প্রশ্ন উঠছে, গণ হারে দলীয় নেতাদের সাসপেন্ড করায় হিতে বিপরীত হবে না তো!