বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও কার্যকারিণী কমিটি ও সর্বদলীয় বৈঠক যাবে না গেরুয়া শিবির। উৎসবের মরশুমে অধিবেশন ডাকার প্রতিবাদে এমন সিদ্ধান্ত বলে বিজেপি (BJP) পরিষদীয় দলের তরফে জানা গিয়েছে। তবে অধিবেশন চলাকালীন বিধানসভার বাইরে ও ভিতরে বারবার সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানানোর কৌশল নেওয়া হয়েছে।
সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন (Winter session of Assembly)। চলবে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত। কিন্তু এর মধ্যবর্তী সময়ে কালীপুজো ও জগদ্ধাত্রী পুজো ছাড়াও বেশ কয়েকটি উৎসব রয়েছে। ফলে অধিবেশনে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েও পরে অবস্থান পরিবর্তন করে বিরোধী বিজেপি। কিন্তু কয়েকজন বিধায়কের আবেদন ও অনুরোধে প্রথম এবং শেষের তিনদিন যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে দেখতে SSKM হাসপাতালে Abhishek Banerjee, কথা বললেন চিকিৎসকদের সঙ্গে]
অধিবেশনে যোগ না দিলে যেহেতু বিশাল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে বিধায়কদের, তাই সিদ্ধান্ত পুর্নবিবেচনা করা হয়। কারণ, সম্প্রতি পরিষদীয় দল চালাতে একটি ‘ফান্ড’ তৈরি করা হয়েছে। সেখানে প্রতি মাসে বিধায়কদের দু’হাজার টাকা করে বেতন থেকে কেটে নেওয়া হয়। আর বিরোধী দলনেতা ১০ হাজার টাকা দেন। কিন্তু প্রতিবাদ জানাতে সর্বদলীয় ও বিএ কমিটির বৈঠকে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
[আরও পড়ুন: ‘পরিকল্পনাহীন সিদ্ধান্ত’, রাজ্যে স্কুল খোলার বিরোধিতায় সরব কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার]
পরিষদীয় দলের তরফে সবুজ সংকেত মিলতেই বৃহস্পতিবার বিজেপির বেশ কয়েকজন প্রশ্ন জমা দেন। এই প্রসঙ্গে বিজেপি বিধায়ক বিশ্বনাথ কারক জানান, ”অধিবেশনে সরকারকে প্যাঁচে ফেলার প্রস্তুতি করে রাখা হচ্ছে। পরিস্থিতি অনুযায়ী কৌশল নেওয়া হবে।” তবে চারদিন নয়। প্রত্যেকটা দিন অধিবেশনে হাজির হয়ে সরকারকে চেপে ধরার পক্ষে বেশ কয়েকজন বিরোধী বিধায়ক। তাঁদের মতে, বিরোধীরা বিধানসভায় সরকারকে প্রশ্ন করতে পারে। সরকারও প্রশ্নের উত্তর দিতে বাধ্য। তাই লড়াই করতে হলে অধিবেশনে যোগ দিয়েই লড়াই করতে হবে।