সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্বাচনের কাজ থেকে সরানো হোক পক্ষপাতদুষ্ট পুলিশ অফিসারদের। শনিবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের (Election Commissioner) দপ্তরে গিয়ে এমনই দাবি জানিয়ে এল বিজেপি (BJP) প্রতিনিধিদল। এ বিষয়ে কলকাতা পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে একাধিকবার কথা বলতে গিয়েও বলার সুযোগ পাননি বলেও অভিযোগ তুললেন গেরু শিবিরের নেতারা। এদিন দুপুর নাগাদ বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্তর নেতৃত্বে এক বিজেপি প্রতিনিধিদল পৌঁছয় নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে। সেখানে নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বেশ খানিকক্ষণ আলোচনা চলে তাঁদের। বেরিয়ে সাংবাদিকদের সামনে নিজেদের দাবিদাওয়া স্পষ্ট করেন তাঁরা।
শুক্রবারই ঘোষিত হয়েছে বাংলা বিধানসভা ভোটের নির্ঘণ্ট। অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচনের জন্য রাজ্যে আগামী এক মাস ধরে ৮ দফায় ভোট হবে। ঠিক তার পরের দিনই রাজ্য নির্বাচনে কমিশনের দপ্তরে অভিযোগ জানিয়ে এলেন রাজ্যসভায় বিজেপির সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত (Swapan Dasgupta), বিজেপি নেতা সব্যসাচী দত্তরা। স্বপন দাশগুপ্তর সাফ বক্তব্য, ”রাজ্যে পুলিশ প্রশাসন যেভাবে চলছে, পুলিশ এমন কিছু কার্যকলাপ করছে, তাতে কোনওমতেই সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হতে পারে না। কয়েকজন পুলিশ অফিসারের কথা আমরা নাম করে বলতে পারি। এঁদের ভোটের কাজে রাখলে স্বচ্ছ নির্বাচন হওয়া সম্ভব নয়। কমিশনকে বলেছি, এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে।” এ প্রসঙ্গে সব্যসাচী দত্তর অভিযোগ, ”দুর্নীতিগ্রস্ত পুলিশ অফিসারদের বাদ দিতে হবে ভোটের কাজ থেকে। পুলিশের নানা নেতিবাচক দিক নিয়ে আমরা বহুবার কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে বলতে চেয়েছিলাম যে উনি অ্যাকশন নিক। কিন্তু আমাদের বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি। তাঁর কাছে বারবার সময় চেয়েও পাইনি।”
[আরও পড়ুন: ‘দরকারে পাই, সরকারে চাই’, বার্তা নিয়ে গুজরাট থেকে বামেদের ব্রিগেডে আসছেন পরিযায়ী শ্রমিক]
এদিন বিজেপি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে ছিলেন আরেক নেতা শিশির বাজোরিয়া। তিনিও একই অভিযোগ তুলেছেন। পরবর্তীতে নিজেদের এই অভিযোগ নিয়ে তাঁরা দিল্লি নির্বাচন কমিশনেও যাবেন বলে জানিয়েছেন স্বপন দাশগুপ্ত। প্রসঙ্গত, রাজ্যে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নেই, এই অভিযোগ তুলে অনেক আগে থেকেই দিল্লি নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি। এবার ভোট ঘোষণার পরদিনই ফের কমিশনে গিয়ে কলকাতা পুলিশ কমিশনার-সহ পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে তাঁরা বিস্তর অভিযোগ জানিয়ে এলেন। রাজ্যে শান্তিপূর্ণ ভোট সম্পন্ন করতেই তাঁদের এই আরজি বলে দাবি স্বপন দাশগুপ্ত, সব্যসাচী দত্তদের।