সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের বিভিন্ন জায়গার নামবদল বিজেপির (BJP) নিয়মিত কর্মসূচি হয়ে উঠেছে। এবার দাবি উঠল অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) ঐতিহাসিক জিন্না টাওয়ারের নাম বদলে এপিজে আবদুল কালামের নামে রাখার। সেই দাবিতেই উত্তাল হল রাজ্যের বিজেপি সংগঠন। বিজেপি জাতীয় সচিব সুনীল দেওধর-সহ অন্য বিজেপি কর্মীরা জিন্না টাওয়ারের দিকে মিছিল করে এগিয়ে গেলে পুলিশ তাঁদের আটক করে।
জানা গিয়েছে, দলের যুব শাখা বিজেওয়াইএম এই নিয়ে একটি বৈঠক করেছিল। সেই বৈঠকের পরই ঠিক হয় জিন্না টাওয়ারে গিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হবে। কিন্তু সেই কর্মসূচি ব্যর্থ হয়। পুলিশ মাঝপথেই আটকে দেয় মিছিলটিকে। আটক করা হয় বিজেপি নেতাদের। পুলিশের এমন আচরণের নিন্দা করেছেন বিজেপির রাজ্যসভার সদস্য নরসিংহ রাও। তিনি প্রশ্ন তোলেন ”আমরা কি অন্ধ্রপ্রদেশে রয়েছি নাকি পাকিস্তানে?”
[আরও পড়ুন: ‘শুভেন্দু জননেতা নন, শুধু মেদিনীপুরের নেতা’, কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের]
এদিকে অন্ধ্রপ্রদেশের বিজেপি সভাপতি সোমু বীররাজুর দাবি, কেবল তাঁদের দলের নয়। এই দাবি গোটা রাজ্যের সাধারণ মানুষের। রাজ্যের ওয়াই এস জগন্মোহন রেড্ডির সরকারকে কাঠগড়ায় তুলে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেন, ”আমাদের দাবির বিরুদ্ধে এমন আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ করতে পারবে না রাজ্য সরকার।” প্রসঙ্গত, গত কয়েকবছরে মোদি (PM Modi), শাহ (Amit Shah), যোগীদের (Yogi Adityanath) হাত ধরে দেশের বিভিন্ন এলাকা, বিশেষ করে ইসলামি সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত নাম পরিবর্তনের ঘটনা ঘটেছে আকছার। মুঘলসরাই স্টেশন, এলাহাবাদ, অযোধ্যার নাম হয়েছে দীনদয়াল উপাধ্যায়, প্রয়াগরাজ ও অযোধ্যা। এবার শুরু হল পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর নামাঙ্কিত টাওয়ারের নাম বদলানোর দাবি।
উল্লেখ্য, অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টুরে অবস্থিত জিন্না টাওয়ার একটি বিখ্যাত স্মৃতিসৌধ। শহরের মহাত্মা গান্ধী রোডে অবস্থিত জাতীয় পতাকার তিন রঙে রঞ্জিত এই টাওয়ারটির নামকরণ নিয়ে বিতর্ক আগেও হয়েছে। ছ’টি পিলারের সাহায্যে গঠিত এই টাওয়ারের গঠনশৈলী দ্বাদশ শতকের মুসলিম স্থাপত্যের কথা মনে করায়। প্রায় ৬০ বছরের বেশি সময়ের ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে জিন্না টাওয়ারের সঙ্গে। যদিও এই টাওয়ারটির রক্ষণাবেক্ষণে অবহেলার অভিযোগ রয়েছে। রাজ্যের আর্কিওলজি বিভাগের মতে, অবিলম্বে একে সুরক্ষিত স্মৃতিসৌধের তালিকাভুক্ত করা দরকার।