রূপায়ন গঙ্গোপাধ্যায়: বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের আর মাত্র কয়েকমাস বাকি। তার আগে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। সেখানে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। এদিকে, রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার দিলীপ ঘোষের বক্তব্যও রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, “বিজেপি নৈতিকভাবে ৩৫৬ ধারার পক্ষে নয়। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ক্ষমতায় আসা উচিত। আমরাও আসব। কিন্তু গণতান্ত্রিক পরিবেশ না থাকলে তখন ৩৫৬ ধারা জারির পরিস্থিতি আসবে। তখন আমরাও ভেবে দেখব। রাষ্ট্রপতি শাসন পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে।” তিনি আরও বলেন, “গণতান্ত্রিক পরিবেশে যেন এ রাজ্যের মানুষ ভোট দিতে পারে সেটা নির্বাচন কমিশনকে ঠিক করতে হবে।” বিজেপির রাজ্য সভাপতির অভিযোগ, “কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকা সত্ত্বেও বাংলায় লোকসভা নির্বাচনে সব আসনে রিগিং, ঝামেলা ইত্যাদি হয়েছে। গোটা দেশে ভোট হল কিন্তু এখানেই এত ঝামেলা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়তেও আমরা দেখলাম।”
[আরও পড়ুন : ‘ক্ষমতায় আসলে তৃণমূল কর্মীদের মামলাও প্রত্যাহার করে নেব’, আশ্বাস দিলীপ ঘোষের]
রাজ্যপালের বক্তব্যকে এদিন সমর্থন করে দিলীপ ঘোষ জানান, পুলিশ-প্রসাশন সরকারের হিংসার নীতিকে মদত দিচ্ছে। রাজ্যপাল সত্য কথাই বলেছেন। এদিন, সায়ন্তন বসুও ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করে বলেন, “বাংলায় যা ঘটছে পরিস্থিতি রাষ্ট্রপতি শাসনের দিকেই এগোচ্ছে।” অন্যদিকে দলীয় কর্মীদের হত্যা নিয়েও এদিন সরব হয়েছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, পুজোর সময়েও বিজেপি কর্মীদের হত্যা করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ১২০ জন বিজেপি কর্মী খুন হয়েছে। দরকার হলে আরও ১২০ জন প্রাণ দেবে। কিন্তু বাংলায় পরিবর্তন করবই।
উল্লেখ্য, করোনা থাবা বসিয়েছিল দিলীপ ঘোষের শরীরে। তাই বেশ কয়েকদিন সকলের সংস্পর্শ এড়িয়ে দূরে ছিলেন তিনি। চা চক্রে যোগ দেওয়া হয়নি তাঁর। তবে এখন একেবারে ফিট। বৃহস্পতিবার তাই জ্যাংরায় চা চক্রে উপস্থিত হন তিনি। এতদিন বিজেপি রাজ্য সভাপতি এলাকায় আসছেন বলে কথা। তাই তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে এলাহি আয়োজন করেন দলীয় নেতাকর্মীরা।
[আরও পড়ুন : ‘মানুষ খুনে জড়িত পুলিশদের আগামীতে আর চাকরি করতে হবে না’, হুঁশিয়ারি রাজুর]