রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: নবান্ন অভিযানে (Nabanna Abhijan) ঠিক কী ঘটেছিল, পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা কেমন ছিল, অত্যাচার করা হয়েছিল কি না, এসব জানতে ময়দানে নেমে কাজ শুরু করল বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। শনিবার তাঁরা কলকাতায় এসে দেখা করলেন আহত বিজেপি কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিতের সঙ্গে। তাঁর সঙ্গে কথা বলে সমস্ত খুঁটিনাটি জানতে চান। পরে তাঁরা মেডিক্যাল কলেজেও যান আহত বিজেপি কর্মীদের দেখতে। দিল্লি ফিরে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে (JP Nadda) রিপোর্ট দেবে এই কমিটি।
১৩ সেপ্টেম্বর বিজেপির নবান্ন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ডের সাক্ষী ছিল শহর কলকাতা (Kolkata)। বিজেপি কর্মীদের রুখতে পুলিশের জলকামান, কাঁদানে গ্যাস, লাঠিচার্জের জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতিতে আহত হন অনেকেই। কলকাতা পুরসভার বিজেপি কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিতের মাথা ফেটে যায়। এখনও বাড়িতেই তিনি চিকিৎসাধীন। এছাড়া কলকাতা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের হাত ভেঙে যায়। তিনি ভরতি হন এসএসকেএমে (SSKM)।
[আরও পড়ুন: স্কুল চলাকালীন টিটাগড়ে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, উড়ল ছাদ, আতঙ্কিত পড়ুয়ারা]
অভিযান নিয়ে দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারীদের কাছ থেকে এসব অভিযোগ পেয়ে দিল্লির বিজেপি নেতৃত্ব ৫ সদস্যের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি (Fact Finding Committee) তৈরি করে দেয়। কমিটিতে রয়েছেন রাজ্যবর্ধন রাঠোর, সুনীল জাখররা। সেই কমিটিই শনিবার কলকাতায় এসে সেসবের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ নেয়। আহত দলীয় কর্মীদের দেখা করে, কথাবার্তা বলে বিজেপির রাজ্য দপ্তরে এসে সাংবাদিক বৈঠক করেন।
[আরও পড়ুন: Pushpanjali #ChantBangla: বাংলাতেই দেব পুষ্পাঞ্জলি, অঙ্গীকার করুক বাঙালিরা]
এই প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ছিলেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল (Agnimitra Paul)। মীনাদেবী পুরোহিতের সঙ্গে দেখা করার পর তাঁরা যান মেডিক্যাল কলেজে। আহত বিজেপি কর্মী সমীর হালদারের সঙ্গে দেখা করতে চান তাঁরা। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দু’জনের বেশি অনুমতি দেয়নি। জানানো হয়েছে, রোগী সুস্থ। কয়েকদিনের মধ্যে ছেড়ে দেওয়া হবে।
এনিয়ে আজ সাংবাদিক সম্মেলনে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ”ডাক্তারবাবু বলতে পারবেন তিনি কতটা আহত। বিজেপি কর্মীরা ইট মারছিলেন। শুভেন্দু সরে গিয়েছেন। মীনাদেবী বিজেপির ইটেই আহত হয়েছেন। মেয়র সৌজন্য দেখাতে গিয়েছিলেন। আজ তাঁর মাথায় ব্যান্ডেজ। বিজেপির কেউ এলে প্রেসক্রিপশন দরকার।”