রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: থানায় ঢুকে শুভেন্দু অধিকারীর ‘দাদাগিরি’র পর বন্ধ। দলীয় নেতা গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে খেজুরিতে ১২ ঘণ্টার বন্ধের ডাক গেরুয়া শিবিরের। বন্ধ সফল করতে বলপ্রয়োগের অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। বন্ধের দিন রাস্তায় বেরিয়ে ভোগান্তির শিকার আমজনতা।
সোমবার সকাল ৬টা থেকে খেজুরির বিভিন্ন প্রান্তে শুরু অবরোধ। বিভিন্ন রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। কুঞ্জপুর, বিদ্যাপীঠ মোড় এলাকায় জোর করে দোকানপাট বন্ধ করার অভিযোগ এলাকার বিজেপি বিধায়ক শান্তনু প্রমাণিকের বিরুদ্ধে। জোর করে ফেরিঘাটও বন্ধ করে দেওয়া হয় বলেই অভিযোগ। মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে বিজেপি নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের। যতক্ষণ না পর্যন্ত তাঁকে মুক্তি দেওয়া হবে, ততক্ষণ আন্দোলন চলবে বলেই দাবি।
[আরও পড়ুন: মালগাড়ির ধাক্কায় শাবক-সহ ৩ হাতির মৃত্যু, রেলের উদাসীনতায় দুর্ঘটনা?]
খেজুরি ২ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শ্যামল মিশ্র পাল পালটা বিজেপিকে আক্রমণ করেন। বলেন, “সিপিএম জমানার কর্মনাশা বন্ধের সংস্কৃতিকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন শুভেন্দু অধীকারী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পরে বাংলায় বন্ধের রাজনীতি বন্ধ করে দেন। ফের সেই বন্ধের রাজনীতি শুরু করে বাংলাকে অশান্ত করার পরিকল্পনা করেছেন বিরোধী দলনেতা। মানুষ এই বন্ধে সাড়া দেননি।”
উল্লেখ্য, গত ২৫ নভেম্বর, বাঁশগোড়াতে সভা ছিল শুভেন্দু অধিকারীর। তার আগে বিকাল চারটে নাগাদ সেখানকার মণ্ডল কমিটির সম্পাদক যুব নেতা রবীন মান্নাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। প্রায় ঘণ্টাপাঁচেক পর থানায় ঢুকে রীতিমতো তাণ্ডব দেখাতে শুরু করেন শুভেন্দু অধিকারী। কর্তব্যরত ডিউটি অফিসারের কাছে যুব নেতার অ্যারেস্ট মেমো দেখতে চান বিরোধী দলনেতা। তা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে রীতিমতো বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন শুভেন্দু। পালটা অপহরণের মামলা দায়ের করার হুঁশিয়ারি দেন তিনি। এই গ্রেপ্তারির প্রতিবাদেই চলছে বন্ধ।
দেখুন ভিডিও: