দীপঙ্কর মণ্ডল: শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sovan Chatterjee) ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Baishakhi Banerjee) ইস্তফা গৃহীত হবে কি না তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারল না বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। রবিবার দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে (Dilip Ghosh) দু’জনেই আলাদাভাবে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন। সোমবার রাত পর্যন্ত তা গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যানের কথা জানা যায়নি।
পুরনো দল তৃণমূল (TMC) বা অন্য কোনও দলে যাওয়ার কথা ভাবছেন না ‘অভিমানী’ শোভন-বৈশাখী। বিজেপির (BJP) রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, “শোভন চট্টোাপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়েছে কিনা তা আমার জানা নেই। মান অভিমান থাকে। এতবড় দল। চাই না দল থেকে কেউ চলে যান। যদি কেউ যেতে চান বলব ভেবে দেখুন। এটা যৌথ পরিবার। বড় পরিবার। একসঙ্গে থাকলে কিছু ত্যাগ করতে হয়। মানিয়ে নিয়ে চলতে হয়।”
[আরও পড়ুন: নাম বিভ্রাট! কমিশনে শুভেন্দুর দায়ের করা অভিযোগের নিশানায় কোন ‘মমতা’?]
তৃতীয় ও চতুর্থ দফার প্রার্থী তালিকায় বেহালা পূর্ব (Behala Purba) আসনে অভিনেত্রী পায়েল সরকারকে (Paayel Sarkar) প্রার্থী করে বিজেপি। সেই বেহালার ঘরের ছেলে বলে পরিচিত শোভন চট্টোপাধ্যায়কে সেখানে প্রার্থী করা হয়নি। বেহালা এলাকায় ছাত্র রাজনীতি করে উত্থান শোভনের। সেখান থেকেই কলকাতা পুরসভার (KMC) মেয়র পারিষদ হয়েছিলেন। পরে মেয়রও হয়েছেন। বেহালা পূর্ব কেন্দ্র থেকে টানা দু’বারের বিধায়ক এবং মন্ত্রীও হয়েছেন। সেই বেহালা পূর্ব কেন্দ্র থেকে শোভন টিকিট না পাওয়ায় রাজ্য রাজনীতিতেও আলোচনা শুরু হয়। পাশাপাশি বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কেও প্রার্থী করেনি বিজেপি। সেটা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করে চিঠি লিখেছেন শোভন।
তবে ক্ষোভ থাকলেও দু’জনের কেউ অন্য কোনও দলে যাওয়ার কথা ভাবছেন না। পদত্যাগপত্র পাঠানোর পরের দিনও দলের আইটি সেল সোমবারের কর্মসূচির কথা তাঁদের জানিয়েছে। এই ঘটনা থেকে রাজনৈতিক মহলের অনুমান, ফের বিজেপিতে স্বমহিমায় দেখা যেতে পারে শোভন-বৈশাখীকে।