রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: মোমিনপুর (Mominpur) যাওয়ার পথে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে বাধা ও গ্রেপ্তারির ঘটনায় উত্তপ্ত শহর থেকে জেলা। এমজি রোড, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে বিক্ষোভে বিজেপি নেতা-কর্মীরা। স্তব্ধ যান চলাচল। এদিকে লালবাজারে গিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
রবিবার মোমিনপুরের স্থানীয় দুই গোষ্ঠী অশান্তিতে জড়িয়ে পড়ে। প্রথমে বচসা। পরে সময় যত গড়াতে থাকে, অশান্তি বিরাটাকার ধারণ করে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এলাকায় ব্যাপক ভাঙচুর শুরু হয়। কাচের বোতল ছোঁড়াছুঁড়িও হয়। হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। নামানো হয়েছে র্যাফ। সোমবার সকালেও নজরদারি চলে।
[আরও পড়ুন: আদিম মানুষের বাসস্থান! বাঁকুড়ার জঙ্গলে প্রাচীন গুহার সন্ধান পেয়ে বিস্মিত স্থানীয়রা]
সোমবার সকালে ওই এলাকায় যাওয়ার জন্য রওনা দিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar)। চিংড়িঘাটায় গার্ডরেল দিয়ে রাস্তা ঘিরে দেওয়া হয়। মোমিনপুর যেতে বাধা দেওয়া হয় তাঁকে। তাতেই মেজাজ হারান সুকান্ত। পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গে বচসায় জড়িয়েও পড়েন তিনি। এরপরই আটক করা হয় সুকান্তকে। প্রিজন ভ্যানে ওঠার সময় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। নিয়ে যাওয়া হয় লালবাজারে।
সুকান্ত মজুমদারের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এদিন ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। মিছিলের পর এমজি রোড, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ে রাস্তায় বসে পড়েন তাঁরা। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ছিলেন কাউন্সিলর সজল ঘোষও। এদিকে মোমিনপুরের ঘটনার প্রতিবাদে এদিন রাজভবনে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ অন্যান্যরা। সেখান থেকে ঘটনার প্রতিবাদে সোচ্চার হন তাঁরা। এরপর লালবাজারে যান বিরোধী দলনেতা। সেখান থেকে বেরিয়ে যান সিইএসসি-র দপ্তরে যান শুভেন্দু। জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে ৩ ঘণ্টা মোমিনপুর এলাকায় বিদ্যুৎ বন্ধ করে রাখা হয়েছিল, কিন্তু কেন, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “নাটক করতে গিয়ে পরিস্থিতি খারাপ করা হচ্ছে। পুলিশ ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হচ্ছে।”