সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিমাচল (Himachal Pradesh) বিধানসভা নির্বাচনের (Assembly Election) প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরেই প্রকাশ্যে সে রাজ্যে বিজেপির (BJP) গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। প্রথম দফায় ১১ জন বর্তমান বিধায়ককে প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। এদের মধ্যে একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। অন্যদিকে দুই মন্ত্রী সুরেশ ভরদ্বাজ ও রাকেশ পাঠানিয়ার নির্বাচনী কেন্দ্র বদল করা হয়। এমন সব সিদ্ধান্ত পছন্দ হয়নি হিমাচল বিজেপির রাজ্য নেতাদের একাংশের। ‘বিদ্রোহী’দের অভিযোগ, পুরনোদের অবহেলা করে দল বদুলদের টিকিট দেওয়া হয়েছে। এমনকী আসন কেনাবেচা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে টিকিট না পাওয়া ‘বিদ্রোহী’ নেতারা নির্দল হয়ে দাঁড়াতে পারেন বলে জান গিয়েছে। সব মিলিয়ে হিমাচল নিয়ে অস্বস্তিতে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
হিমাচল প্রদেশে রাজনৈতিক দলগুলি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে রাজ্যের মোট ৬৮টি বিধানসভা আসনে। গত বুধবার ৬২ আসনের প্রার্থীর নাম জানিয়েছিল গেরুয়া শিবির। তখনই দেখা যায় বাদ পড়েছে ১১ জন বিধায়ক। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সিদ্ধান্তে একাধিক নেতার নির্বাচনী কেন্দ্র বদলে দেওয়া হয়েছে। যাতে অখুশি রাজ্য বিজেপির একটা বড় অংশ। ধীরে ধীরে প্রকাশ্যে আসছে নেতাদের উষ্মা। তাদের দাবি, পুরনো তথা বিশ্বস্ত নেতাদের বদলে দল বদলুদের গুরুত্ব দিচ্ছে দিল্লি।
[আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশনের পর খয়রাতি নিয়ে পদক্ষেপে প্রস্তুতি CAG’র, রিপোর্ট যাবে কেন্দ্রের কাছে]
২০২১ সালে বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণার পর যেমন অভিযোগ উঠেছিল, কতকটা একই সুরে দল বদলুদের গুরুত্ব দেওয়া নিয়ে অভিমানী হিমাচল ‘আদি’ বিজেপি। টিকিট না পাওয়া নেতাদের বক্তব্য, অবিবেচকের মতো টিকিট বণ্টন হয়েছে। কেন্দ্র বদল নিয়েও তোপ দাগছেন বিদ্রোহী নেতারা। উল্লেখ্য, শিমলা আরবানের বিধায়ক সুরেশ ভরদ্বাজকে এবার লড়ত হবে কুসুমটি থেকে, অন্যদিকে নূরপুরের বদলে পার্শ্ববর্তী বিধানসভা ফতেপুরে দাঁড়াবেন রাকেশ পাঠানিয়া। দলীয় সিদ্ধান্তে শিমলা আরবানে দাঁড়াবেন সঞ্জয় সুদ।
দল বিরোধী কথা না বললেও আসন বদল নিয়ে মুখ খুলেছেন সুরেশ ভরদ্বাজ। তিনি বলেন, “আমি কুসুমটি কেন্দ্রের ভোটার নেই। আমার জেতা-হারা এখন নির্ভর করছে দলীয় কর্মীদের উপরে। যদিও তাঁরা অখুশি বলেই জানি।” দলের অন্দরে খবর, বর্তমান পরিস্থিতিতে বিরোধীদের পাশাপাশি বিদ্রোহী গেরুয়া শিবিরের সঙ্গেও ভোটে লড়তে হবে বিজেপিকে। জানা গিয়েছে, কাঙ্গরার ১০টি আসনের মধ্যে ৫ টিতে, মান্ডিতে ১০টির মধ্যে ৫-৬টি আসনে বিদ্রোহী নেতারা নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়তে চলেছেন।
[আরও পড়ুন: ক্ষমতা ছাড়া শান্তি স্থাপন অসম্ভব, কার্গিলে দীপাবলি উদযাপনে বার্তা মোদির]
টাকার বিনিময়ে টিকিট বিক্রি হচ্ছে বলেও অভিযোগ করছেন বেশ কিছু গেরুয়া নেতা। রাজ্যসভার প্রাক্তন সদস্য কৃপাল পারমারের মন্তব্য, যাদের টাকা আছে তাঁদেরকে টিকিট দিয়েছে দল। গত বছর প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ পড়ার পরে রাজ্যে বিজেপি সহ-সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন এই পারমার। তিনি বলেন, রাকেশ পাঠানিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও ফতেপুরে তাঁকে টিকিট দেওয়া হয়েছে। নূরপুর কেন্দ্রেও টাকার খেলা হয়েছে। পারমারের সুরে সুর মেলাচ্ছেন হিমাচল বিজপি বহু নেতাই।