সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কর্ণাটকের উপনির্বাচনে বড়সড় জয় বিজেপির। ১৫টি আসনের মধ্যে ১২টি আসনে বিজেপি হয় জিতে গিয়েছে, নাহয় এগিয়ে রয়েছে। ফলে ইয়েদুরাপ্পার সরকার টিকে থাকা নিয়ে আর কোনও সংশয় রইল না। উপনির্বাচনের পর ২২৪ আসনের কর্ণাটক বিধানসভায় বিজেপির হাতেই রইল ১১৮টি আসন। যা ম্যাজিক ফিগার ১১৩-র চেয়ে অনেকটাই বেশি।
কর্ণাটকের এই ১৫ আসনের উপনির্বাচনের উপরই নির্ভর করছিল ইয়েদুরাপ্পা সরকারের ভবিষ্যৎ। ক্ষমতায় টিকে থাকতে হলে অন্তত ৬টি আসনে জিততেই হত গেরুয়া শিবিরকে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, ২০১৮ বিধানসভা নির্বাচনে এই ১৫টি আসনই হয় কংগ্রেস নাহয় জেডিএসের দখলে ছিল। পরে এই দুই দলের বিধায়করা বিজেপিতে যোগ দেন। যার ফলে, তাঁদের বিধায়কপদ বাতিল হয়ে যায়। মোট ১৭ জন বিধায়কের বিধায়ক পদ বাতিল হয়েছিল। ফলে, ওই আসনগুলিতে উপনির্বাচনের প্রয়োজন হয়ে পড়ে।
[আরও পড়ুন: মুসলিমদের জমি দেওয়ার দরকার নেই, অযোধ্যা রায় পুনর্বিবেচনার আরজি হিন্দু মহাসভার]
আপাতত ১৫ আসনে নির্বাচনের নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন। প্রত্যেকটি আসনেই কংগ্রেস-জেডিএস থেকে আসা বিদায়ী বিধায়কদের প্রার্থী করে বিজেপি। যার জেরে ব্যাপক গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের মুখেও পড়তে হয় গেরুয়া শিবিরকে। তবে, সেসব উপেক্ষা করেই বাজিমাত করল বিজেপি। হালে পানি পেল না কংগ্রেস-জেডিএস। যদিও, প্রাক্তন জোটসঙ্গীরা এবারে লড়েছিল আলাদা আলাদা। তাই, কিছুটা হলেও সুবিধা পেয়ে যায় বিজেপি।
[আরও পড়ুন: “নেহেরুই সবচেয়ে বড় ধর্ষক ছিলেন”, বিতর্কিত মন্তব্য সাধ্বী প্রাচীর ]
এই উপনির্বাচনে সবচেয়ে বেশি লোকসান হল কংগ্রেসের। আগে ১৫টি আসনের মধ্যে ১২টি কংগ্রেসের দখলে ছিল। সেখানে এবারে মাত্র ২টি আসন ধরে রাখতে পেরেছে হাত শিবির। ১০টি কমেছে তাঁদের। হেরে গিয়েছেন কর্ণাটকের অন্যতম প্রভাবশালী কংগ্রেস নেতা ডি কে শিবকুমারও। ফলাফলকে স্বাগত জানিয়ে শিবকুমারের মন্তব্য, “মানুষ দলত্যাগীদেরই গ্রহণ করেছে। আমরা হার স্বীকার করছি। তবে হারের মানে এই নয় যে, কর্ণাটকে কংগ্রেস শেষ হয়ে গেল। কর্ণাটক কংগ্রেসের শক্তি ঘাঁটি ছিল এবং থাকবে। ” অন্যদিকে ইয়েদুরাপ্পা বলছেন, “এই জয়ে আমি খুব খুশি। এবার কোনও বাধা বিপত্তি ছাড়াই আমরা জনমুখী সরকার চালাতে পারব।”
The post উপনির্বাচনে ধরাশায়ী কংগ্রেস, কর্ণাটকে ক্ষমতা ধরে রাখল বিজেপি appeared first on Sangbad Pratidin.