রাজকুমার, আলিপুরদুয়ার: নবান্ন অভিযানে নিহত ডিওয়াইএফআই (DYFI) কর্মী মইদুল ইসলাম মিদ্যা জেএমবি (JMB) জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত! এই মর্মে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টার। যা নিয়ে ইতিমধ্যে তুমুল বিতর্ক আলিপুরদুয়ারের রাজনীতির অন্দরে। অভিযোগ, সোশ্যাল মিডিয়ায় এই পোস্ট করেছেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপির আইটি সেলের এক কর্মী। তা নিয়েই শুরু হয়ে গিয়েছে তীব্র সমালোচনা।
গত ১১ তারিখ বাম ছাত্র-যুবদের নবান্ন অভিযানে গিয়ে নিহত হন ডিওয়াইএফআই কর্মী মইদুল ইসলাম মিদ্যা। তা নিয়ে সাময়িকভাবে তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। পুলিশের বিরুদ্ধে অমানবিকতার অভিযোগ তুলে বাম সংগঠনগুলি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে। ইতিমধ্যেই যদিও মইদুলের স্ত্রীকে হোম গার্ডের চাকরি দিয়ে পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু তারপরই আলিপুরদুয়ারের কামাখ্যাগুড়ির বিজেপির আইটি সেলের কর্মী দিবাকর দেবনাথ সোশ্যাল মিডিয়ায় মৃত ওই কর্মী সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করে পোস্ট দেয়। তিনি লেখেন, মইদুল ইসলাম মিদ্যার সঙ্গে জেএমবি জঙ্গিদের যোগ ছিল। নিজের দাবির সপক্ষে আবার তিনি এনআইএ রিপোর্টের কথাও উল্লেখ করেছেন।
[আরও পড়ুন: বিজেপির ‘পরিবর্তন যাত্রা’য় বোমাবাজি, রাজনৈতিক সংঘর্ষে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি উত্তর ২৪ পরগনায়]
সংগঠনের এমন এক লড়াকু নেতাকে ‘জঙ্গি’ তকমা দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ জেলার বাম নেতৃত্ব। ঘটনার বিচার চেয়ে সাইবার ক্রাইমের দ্বারস্থ হয়েছেন ডিওয়াইএফআই-এর জেলা কমিটি। অবিলম্বের দিবাকর দেবনাথকে গ্রেপ্তারির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। দু’দিনের মধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা না হলে ডিওয়াইএফআই বড় ধরনের আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। বাম যুব সংগঠনের জেলা সম্পাদক রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ”সোশ্যাল মিডিয়ায় আপত্তিজনক পোস্ট করেছেন দিবাকর দেবনাথ। তিনি আলিপুরদুয়ারের কামাখ্যাগুড়ির বাসিন্দা। আমরা চাই তাঁকে অবিলম্বে পুলিশ গ্রেপ্তার করুক।তা নইলে জেলাজুড়ে বড় আন্দোলন হবে।” বাম কর্মীকে জঙ্গির সঙ্গে তুলনা করার বিষয়টিতে বিরোধিতা করেছেন অন্যান্য রাজনৈতিক দলও।