shono
Advertisement

‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ ঘোষণা হতেই বিজেপির ‘গ্রামে চলো’ কৌশল

১০০ জন নেতাকে দশটি করে গ্রামের দায়িত্ব।
Posted: 08:20 AM Jan 03, 2023Updated: 08:20 AM Jan 03, 2023

রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: শাসকদলের জনসংযোগে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচি ঘোষণা হতেই চাপে পড়ে নিজেদের অস্তিত্ব বাঁচাতে পালটা ‘গ্রামে চলো’ ঘোষণা করল রাজ‌্য বিজেপি। শুধু তাই নয়, এবার গ্রামে গিয়ে গেরুয়া নেতারা আম আদমিদের সঙ্গে পংক্তিভোজেও বসবেন। উল্লেখ‌্য, একুশের বিধানসভা ভোটের আগেও বিজেপির এই ‘ভোজ রাজনীতি’ চালু হলেও তা শুধু মুখ থুবড়ে পড়েনি উলটে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছিল।

Advertisement

নতুন বছরে দলীয় কর্মসূচিতে রাজ্যে আসার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে জে পি নাড্ডার। শাহ-নাড্ডারা দলের সংগঠনের হাল খতিয়ে দেখতে বৈঠকও করবেন বঙ্গ বিজেপির নেতাদের সঙ্গে। তার আগেই নিচুতলায় দলের বসে যাওয়া সংগঠনকে টেনে তুলতে গ্রামে গ্রামে ছোটার পরিকল্পনা নিল মুরলিধর সেন লেন। এই কর্মসূচী মতে ১০০ বিজেপি (BJP) নেতারা যাবেন ১০টি করে গ্রামে। মূলত, ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ ঘোষণা হতেই তড়িঘড়ি ‘গ্রামে চলো’ কর্মসূচী ঘোষণা করেছে রাজ‌্য বিজেপি।

[আরও পড়ুন: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি শেখ সুফিয়ান-সহ ৪ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে]

উল্লেখ্য, সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। নিচুতলার সংগঠনের বেহাল অবস্থা মেরামত কীভাবে করা যায় তার রাস্তা বের করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে গেরুয়া শিবিরের নেতাদের। নিচুতলায় যে রাজ‌্য নেতা থেকে সাংসদ-বিধায়করা ঠিকমতো যাচ্ছেন না, সেই খবর গিয়েছে কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে। বিজেপির রাজ‌্য দপ্তরে কোর কমিটির নেতাদের সঙ্গে বৈঠকেও এটা স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর স্পষ্ট বার্তা নিচুতলায় কর্মীদের কাছে যেতে হবে। আর শাহর এই ঝাঁকুনির পরই টনক নড়েছে রাজ‌্য বিজেপি নেতাদের।

কেন্দ্রীয় নেতাদের কড়া নিদান, জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে রাজ্যের শীর্ষ নেতাদের এবার অঞ্চলে যেতে হবে। দায়িত্ব নিতে হবে গ্রামের। ১০০ জন প্রথম সারির বিজেপি নেতার উপর ১০টি করে গ্রাম বা অঞ্চলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মোট এক হাজার অঞ্চলে কর্মী-সমর্থক ও সাধারণ গ্রামবাসীদের সঙ্গে মিলিত হবেন ওই ১০০জন বিজেপি নেতা। পঞ্চায়েত স্ট্র্যাটেজি কর্মসূচিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত ওই নেতাদের তালিকায় দলের সাংসদ, বিধায়ক, বাংলা থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় যাঁরা রয়েছেন, দলের রাজ‌্য সভাপতি, বিরোধী দলনেতা, রাজ্যের দায়িত্বপাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতারাও যাবেন। সোমবার ভগবানপুরের অঞ্চল সম্মেলন থেকে দলের এই কর্মসূচির কথা জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

এদিকে, তৃণমূলের (TMC) জনসংযোগ কর্মসূচিকে কটাক্ষ করে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “নির্বাচন এলেই এসব করে মানুষকে বোকা বানায় তৃণমূল। পঞ্চায়েত ভোটে এবার মানুষ তৃণমূলকে হারাবে। গতবার পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়নি। এবার মুখে বলছে, শান্তিতে ভোট হবে। দেখা যাক, সত্যিই তাই হয় কিনা।” তৃণমূলের নয়া কর্মসূচিতে নেতাদের গ্রামে গিয়ে রাত্রিযাপন প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের মন্তব্য, “আমরা গ্রামে যাই, থাকি। তাই ওরাও একই ভাবছে।”

[আরও পড়ুন: জেদেই সাফল্য, দিন আনা দিন খাওয়া পরিবার থেকে সর্বভারতীয় পরীক্ষায় দ্বিতীয় বাংলার ছেলে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement