shono
Advertisement

‘আমি করোনা আক্রান্ত বলে পার পেলেন’, কোভিড রোগীর ‘হেনস্তা’নিয়ে মমতাকে তোপ অগ্নিমিত্রার

ট্রলির অভাবে করোনা রোগীকে হেঁটে মেডিক্যালে এক ওয়ার্ড থেকে অন্যত্র যেতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। The post ‘আমি করোনা আক্রান্ত বলে পার পেলেন’, কোভিড রোগীর ‘হেনস্তা’ নিয়ে মমতাকে তোপ অগ্নিমিত্রার appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 05:23 PM Sep 28, 2020Updated: 06:49 PM Sep 28, 2020

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে মিলছে না ট্রলি। তার ফলে পায়ে হেঁটেই জরুরি বিভাগ থেকে গ্রিন বিল্ডিংয়ে যেতে হচ্ছে করোনা রোগীদের। এই ঘটনায় স্বাস্থ্যদপ্তরের উদাসীনতাকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পল (Agnimitra Paul)। সম্প্রতি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন তিনিও। সুস্থ থাকলে এই ঘটনার পরই মহিলা মোর্চার সদস্য আন্দোলনে শামিল হতেন বলেই ফেসবুক পোস্টে হুঁশিয়ারি তাঁর। তিনি লেখেন, “পার পেয়ে গেলেন আমি এখন করোনার কবলে বলে।”

Advertisement

প্রতিদিনই কয়েকশো করোনা রোগী আসছেন মেডিক্যাল কলেজে। রোগীরা ও রোগীর পরিজনেরা বারবার অভিযোগ করছেন, হাসপাতালে ট্রলি মেলে না। অথচ বাস্তব চিত্র বলছে, হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ট্রলি পড়ে রয়েছে। এ নিয়ে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার ডা. ইন্দ্রনীল বিশ্বাস স্পষ্টই জানিয়েছেন, ‘‘রোগীদের নেওয়ার জন্য অনেক ক্ষেত্রেই ট্রলি মিলছে না বলে আমাদের কাছে অভিযোগ পৌঁছেছে। সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে আমরা উদ্যোগী। হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণ ট্রলি রয়েছে।’’

[আরও পড়ুন: ‘মুখ্যমন্ত্রীকে ওনার সাংবিধানিক দায়িত্ব মনে করাতে চাই’, ফের মমতাকে বিঁধলেন ধনকড়]

সাধারণত ট্রলির দায়িত্ব থাকে নিরাপত্তারক্ষীদের উপর। তাঁদেরই দায়িত্ব রোগীকে ট্রলি এগিয়ে দেওয়া। কিন্তু অভিযোগ, ট্রলি করে কোভিড রোগীকে নিয়ে যেতে দায়সারা মনোভাব দেখাচ্ছেন নিরাপত্তারক্ষীরা। রবিবার উত্তর কলকাতা থেকে বাবাকে নিয়ে মেডিক্যাল কলেজে এসেছিলেন দেবাঞ্জন দত্ত। তাঁর অভিযোগ, “ট্রলি নেই। ট্রলি পাওয়া গেলে আবার ঠেলে নিয়ে যাওয়ার লোক নেই। নিজেরাই ঠেলে নিয়ে যেতে হচ্ছে। যাঁদের ট্রলি প্রয়োজন, কেউই সময়মতো পাচ্ছেন না।” চুক্তিভিত্তিক কিছু কর্মীর গা-ছাড়া মনোভাবের জন্যেই মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বদনাম হচ্ছে বলে মনে করছেন কয়েকজন চিকিৎসক। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থায়ী কর্মীদের সুপারভাইজার জানিয়েছেন, “করোনা হাসপাতাল হিসাবে চিহ্নিত হওয়ার পর থেকেই বহু চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ হয়েছে। আক্রান্ত রোগীদের পরিবার থেকে এঁদের বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

[আরও পড়ুন: ‘কথা বলার আগে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন’, বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে অনুপমকে সতর্ক করলেন মুকুল]

সূত্রের খবর, বিভিন্ন ওয়ার্ডে ট্রলি রাখা থাকলেও তা যথাস্থানে এনে রাখছেন না চুক্তিভিত্তিক কর্মীরা। মেডিসিন স্টোরে, নানা ওয়ার্ডে বিভিন্ন ঘরে সেগুলো ফেলে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ। আরও বেশ কিছু ট্রলি ইতস্তত পড়ে রয়েছে বলে কর্তৃপক্ষর ধারণা। সুপার ইন্দ্রনীল বিশ্বাস জানিয়েছেন, ট্রলির বিষয়টি পুরোপুরি ডেপুটি সুপার দেখেন। যদিও ডেপুটি সুপার জয়ন্ত স্যানালকে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। সুপারের সাফাই, কোনও রোগীর ট্রলি না পাওয়ার কথা নয়। এখন হাসপাতালে অন্যান্য রোগীর চাপও কম। ট্রলি যথাস্থানে এনে রাখাটা নিরাপত্তারক্ষীরই দায়িত্ব।

The post ‘আমি করোনা আক্রান্ত বলে পার পেলেন’, কোভিড রোগীর ‘হেনস্তা’ নিয়ে মমতাকে তোপ অগ্নিমিত্রার appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement