সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সদ্য তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। শনিবার দিল্লি থেকে কলকাতায় ফিরে অনুগামীদের উচ্ছ্বাসে ভাসলেন ভাটপাড়ার বিধায়ক অর্জুন সিং। বিমানবন্দরেই সাংবাদিকদের বললেন, বারাকপুরে দীনেশ ত্রিবেদী হারবেন। দল তাঁকে বারাকপুরে প্রার্থী করলে জয়ের ব্যাপারে তিনি আত্মবিশ্বাসী। এদিন জনতার ঢল ছিল বিমানবন্দরে। তাঁকে গাড়ি পর্যন্ত পৌঁছতে রীতিমতো বেগ পেতে হয়। কিন্তু অনুগামীদের উচ্ছ্বাসই তাঁর সম্পদ বলে জানালেন শিল্পাঞ্চলের পোড়খাওয়া নেতা।
জল্পনা ছিলই। তিনি বিজেপিতে পা বাড়িয়ে রেখেছেন। গত সোমবারই তৃণমূল ছাড়ার হুমকি দেন অর্জুন সিং। দল যদি বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রে তাঁকে প্রার্থী না করে তাহলে দল ছাড়ার ব্যাপারে মনোস্থির করে ফেলেন। তখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে তাঁকে ডেকে বোঝান। তখনকার মতো বিষয়টি মিটে গেলেও মঙ্গলবার দলনেত্রী তৃণমূলের প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করতেই ঠিক করে ফেলেন অর্জুন, দল ছাড়বেন। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে গিয়ে বিজেপির সদর দপ্তরে গেরুয়া উত্তরীয় গায়ে চাপান অর্জুন। বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে প্রাক্তন তৃণমূল নেতা মুকুল রায়ের সঙ্গে তাঁর কোন্দল সুবিদিত। সেই মুকুল রায়ের হাত ধরেই বিজেপিতে তাঁর যোগদানে ভ্রু কুঁচকান অনেকে। কিন্তু কে না জানে, রাজনীতিতে চিরস্থায়ী বলে কিছু হয় না। সেই প্রবাদকে অক্ষরে অক্ষরে পালন করে বিজেপিতে যোগ দেন অর্জুন। অনুপম হাজরা, সৌমিত্র খাঁদের মতোই তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে।
[অর্জুন সিংয়ের কার্যালয়ে হামলা, পালটা তাণ্ডবের অভিযোগ ভাই সঞ্জয়ের]
এদিন বিমানবন্দরে অনুগামীদের ঢল দেখে যারপরনাই মনোবল দ্বিগুণ হয়েছে অর্জুনের, তা তাঁর বক্তব্যতেই স্পষ্ট। এদিন তিনি বলেন, ‘তৃণমূলে কুয়োর ব্যাঙ হয়ে ছিলাম। বিজেপিতে ভাল আছি। দল যদি বারাকপুরে প্রার্থী করে তবে জয়ের বিষয়ে আশাবাদী। দীনেশ ত্রিবেদী হারবেই।’ গলায় প্রত্যয়ের সুর অর্জুনের। এবার সময়ই বলবে, বারাকপুরে তিনি বিজেপির প্রার্থী হন কিনা এবং তাঁর আত্মবিশ্বাস ভোটবাক্সে প্রতিফলিত হয় কিনা।
[প্রার্থীতালিকা ঘোষণা হতেই সক্রিয় সিপিএম প্রার্থীরা, সকাল থেকে শুরু প্রচার]
The post ‘তৃণমূলে কুয়োর ব্যাঙ ছিলাম’, শহরে ফিরেই মন্তব্য বিজেপি নেতা অর্জুন সিংয়ের appeared first on Sangbad Pratidin.