রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: বিধানসভা নির্বাচনে (West Bengal Assembly Election) বিজেপির টিকিট দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে নেওয়া হয়েছিল ২৩ লক্ষ টাকা! কিন্তু টিকিট তো মেলেইনি উলটে ফেরত মেলেনি টাকাও। তাই বাধ্য হয়ে এবার আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে দলের রাজ্য নেতৃত্বকে চিঠি লিখলেন পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরের প্রাক্তন মণ্ডল সভাপতি। এই ঘটনায় অস্বস্তিতে বিজেপি শিবির।
পটাশপুর ১ নম্বর উত্তর মণ্ডলের প্রাক্তন সভাপতি মানসরঞ্জন সামাই। তাঁর দাবি, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তাঁকে বিজেপির টিকিট দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। রাজ্য বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার মহিলা সহ-সভাপতি টিকিট দেওয়ার নাম করে পাঁচ দফায় মোট ২৩ লক্ষ টাকা নেন বলে অভিযোগ। কিন্তু টিকিট পাননি মানসবাবু। তিনি ভেবেছিলেন টাকা ফেরত পাবেন। কিন্তু তেমনটাও হয়নি। এরপরই বাধ্য হয়ে গোটা ঘটনা দলীয় প্যাডে লিখে তা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)-সহ দলের রাজ্য নেতাদের পাঠান। তারপর পেরিয়েছে বেশ কিছুদিন।
[আরও পড়ুন: ধারের টাকা ফেরত চাওয়ার জের, ভরসন্ধেয় হাবড়ার ভরা বাজারে ব্যবসায়ীকে খুন]
সোমবার প্রকাশ্যে আসে সেই চিঠি। জানা যায়, ২৩ লক্ষ টাকা দেওয়ার বিষয়টি। সূত্রের খবর, রাজ্য নেতৃত্বকে পাঠানো চিঠিতে মানসরঞ্জন সামাই লিখেছিলেন, টাকা ফেরত না পেলে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হবেন তিনি। এর জন্য দায়ী থাকবেন বিজেপি সংখ্যালঘু মোর্চার মহিলা সহ-সভাপতি।
ইতিমধ্যেই চিঠি পাঠানোর বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন মানসরঞ্জন সামাই। তিনি জানান, দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ছাড়াও রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী এবং রাজ্য সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতি আলি হোসেনকে বিষয়টি জানিয়েছিলেন। তবে সেই চিঠি এতদিন পর কীভাবে প্রকাশ্যে এল, তা তাঁর অজানা বলে দাবি করেছেন মানসবাবু। টাকা দিয়েও টিকিট না পাওয়ার ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই দলের প্রতি ক্ষোভ তৈরি হয়েছে মানসবাবুর। যা উসকে দিয়েছে তাঁর দলত্যাগের জল্পনা। তবে এবিষয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেননি তিনি।