সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দলীয় বৈঠক সেরে ফেরার পথে আচমকা আব্দুল মান্নানের বাড়িতে দিলীপ ঘোষ। কী কারণে কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতার সঙ্গে দেখা করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি, তা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। পঞ্চায়েত ভোটে কি তবে বদলাবে সমীকরণ, তুঙ্গে জল্পনা। যদিও দিলীপ ঘোষ সমস্ত জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছেন।
শুক্রবার হুগলির ব্যান্ডেলে বিজেপির বৈঠক ছিল। ওই বৈঠকে সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারীদের মতো যোগ দিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষও। বৈঠক শেষে ফেরার পথে কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নানের বাড়িতে যান দিলীপ ঘোষ। বেশ কিছুক্ষণ কথাও হয় তাঁদের।
[আরও পড়ুন: ‘আপনাদের চেয়ারের যোগত্যাই নেই’, অধ্যক্ষদের তোপ মেডিক্যাল পড়ুয়াদের, ভেস্তে গেল বৈঠক]
২০১৬ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ছিলেন আব্দুল মান্নান। সেই সময় আবার বিধায়ক ছিলেন দিলীপ ঘোষ। তার ফলে বিধানসভায় মাঝেমধ্যেই দেখা হয় দু’জনের। এরপর ২০১৯ সালে সংসদ হন দিলীপ ঘোষ। একদা বিজেপি রাজ্য সভাপতির দিল্লি যাত্রার পর থেকে মান্নানের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ আর তেমন ছিল না। তবে প্রাক্তন বিরোধী দলনেতার সঙ্গে আবার ফের কেন দেখা করলেন দিলীপ ঘোষ, তা নিয়ে চলছে জোর চর্চা। আগামী বছরেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে মান্নান ও দিলীপের সাক্ষাৎ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
যদিও সমস্ত জল্পনায় জল ঢেলেছেন দিলীপ ঘোষ। বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতার বাড়ি থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, “বিধায়ক হয়ে বিধানসভায় যাওয়ার সময় থেকে আমাদের সম্পর্ক। বিধানসভার ওঁর কাছে গিয়ে বসতাম। কথা হত। অনেকদিন হল দেখা সাক্ষাৎ নেই। তাই ভাবলাম পার্টির কাজে এসেছিলাম একবার দেখা করে যাই।” কী নিয়ে কথা হল দু’জনের? “সাধারণ স্বাস্থ্য, এটা ওটা নিয়ে কথা হয়েছে। আপনারা যেটা ভাবছেন রাজনীতির কথা কম হয়েছে। দু’জন নেতার দেখা হলে রাজনীতি নিয়ে তো কথা হবে। বাংলায় সব কিছু নিয়েই চর্চা হয়। দেখা সাক্ষাৎ করব না? ব্যক্তিগত সম্পর্ক থাকতে পারে না? উনিও কংগ্রেস ছাড়বেন না। আমি বিজেপি ছাড়ব না। এটা নিশ্চিত।”