সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পর এবার সিআইডি’র ভূমিকা নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তৃণমূল নেতাদের বাঁচাতে সিআইডি কাজ করছে বলেই দাবি তাঁর। বিস্ফোরক অভিযোগের পালটা জবাব দিল তৃণমূল।
বীরভূমের পর বর্তমানে পুরুলিয়া জেলা সফরে দিলীপ ঘোষ। শনিবার সকালে পুরুলিয়া শহরের ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে চা চক্রে যোগ দেন তিনি। সেই সময়ই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক ইস্যুতে তোপ দাগেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। সিআইডি’র বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করে বসেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “সিআইডি সবসময় দুর্নীতি ও অন্য অবৈধ কাজ চাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। তৃণমূলের জন্য অন্য নেতাদের টাইট দেয়। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সেটিং করে। লেনদেন করে। এটাই সিআইডি’র কাজ। যেভাবে ইডি-সিবিআই একজোট হয়েছে তাতে সব টাকা বেরিয়ে যাচ্ছে। সিআইডিকে দিয়ে কিছু বাঁচানোর চেষ্টা। কিছু টাকা তুলে আনছে সিআইডি। তার থেকে কিছু বাঁচবে। শেষ প্রাণরক্ষা করার চেষ্টা চলছে। কেসকে চেপে দেওয়া। নেতাদের সতর্ক করে দেওয়া। আর কিছু টাকাপয়সা বাঁচিয়ে দেওয়া।”
[আরও পড়ুন: প্রেমিকাকে নিয়ে পালিয়েছে বিবাহিত দাদা! রাগে ভাইপোকে অপহরণ করে ‘খুন’ যুবকের, উত্তপ্ত মন্তেশ্বর]
উল্লেখ্য, সম্প্রতি গরু, কয়লা, বালি পাচার মামলায় গতি বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিআইডিও বিভিন্ন জায়গায় চালিয়েছে তল্লাশি। ইতিমধ্যেই মালদা থেকে ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা-সহ এক মাছ ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। বাগুইআটি জোড়া খুন কাণ্ডের তদন্তভার নেওয়ার পরই মূল অভিযুক্তকেও পাকড়াও করা হয়েছে। সে প্রসঙ্গ উল্লেখ করেই সুর চড়িয়েছেন দিলীপ ঘোষ। বিজেপি নেতাকে পালটা জবাব দেয় তৃণমূল। সাংসদ শান্তনু সেন অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন। সিআইডি যথেষ্ট তৎপর বলেই সওয়াল তাঁর।
মঙ্গলকোট বিস্ফোরণ মামলায় অনুব্রত মণ্ডল বেকসুর খালাস পেয়েছেন শুক্রবারই। সে প্রসঙ্গেও এদিন মুখ খোলেন তিনি। বলেন, “বর্তমান রাজ্য সরকার বিরোধীদের আটকানোর জন্য যেমন মিথ্যা কেস দিচ্ছে। একইভাবে বাম আমলে বিরোধীদের আটকাতে মিথ্যা কেস দেওয়া হয়েছিল। তাতেই হয়তো ছাড়া পেয়েছেন অনুব্রত।” নিহত ছাত্রনেতা আনিস খানের খুড়তুতো ভাইয়ের উপর হামলার ঘটনাতেও রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা প্রসঙ্গে তোপও দাগেন দিলীপ ঘোষ।