shono
Advertisement

করোনাবিধি লঙ্ঘন! বিধাননগরে দিলীপ ঘোষকে পুরভোটের প্রচারে ‘বাধা’

পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতেও জড়িয়ে পড়েন বিজেপি নেতা।
Posted: 10:13 AM Jan 29, 2022Updated: 10:13 AM Jan 29, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুরভোটের প্রচারকে কেন্দ্র করে বিধাননগর পুরনিগমের ২০ নম্বর ওয়ার্ডে উত্তেজনা। জগৎপুরে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষকে (Dilip Ghosh) প্রচারে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতেও জড়িয়ে পড়েন তিনি। শেষ পর্যন্ত যদিও প্রচার করা হয়নি তাঁর।

Advertisement

শনিবার সকালে বিধাননগর পুরনিগমের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থীর হয়ে প্রচার করতে যান দিলীপ ঘোষ। অভিযোগ, তাঁকে প্রচারে বাধা দেয় পুলিশ। তাতেই পুলিশকর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন ওই বিজেপি নেতা। পুলিশের দাবি, কোভিডবিধি অমান্য করে পাঁচজনের বেশি লোকজন নিয়ে ২০ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচারে গিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে প্রচারে বাধা দেওয়া হয়। তাতেই বেজায় চটেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি।

[আরও পড়ুন: গত ২৪ ঘণ্টায় ফের সামান্য ঊর্ধ্বমুখী কোভিড গ্রাফ, সংক্রমণের শীর্ষে কলকাতা]

এ প্রসঙ্গে শুরু রাজনৈতিক তরজা। চলছে অভিযোগ-পালটা অভিযোগ খারিজের পালা। ক্ষুব্ধ দিলীপ ঘোষের প্রশ্ন, “প্রচার করতে না দিলে ভোট করছেন কেন?” পালটা দিলীপ ঘোষকে তোপ দাগেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, “ত্রিপুরায় ভোটের আগে কি হয়েছিল, তা ভাবা উচিত। নজর ঘোরাতে এখন নাটক করছেন দিলীপ ঘোষ।”

উল্লেখ্য, রাজ্য এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত ২২ জানুয়ারি রাজ্যের চার পুরনিগমে ভোটের দিন স্থির করা হয়। তবে করোনার বাড়বাড়ন্তে ভোট পিছিয়ে দেওয়ার দাবি ওঠে। কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলাও দায়ের হয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ভোট পিছিয়ে দেওয়া যায় কিনা, সে বিষয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরামর্শ দেয় হাই কোর্ট। এরপরই ভোট পিছিয়ে যায়। তাই আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি বিধাননগর, চন্দননগর, আসানসোল এবং শিলিগুড়ি পুরনিগমে ভোটাভুটি। শুক্রবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয় আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি, সোমবার রাজ্যের চার পুরনিগমের ভোটের ফলপ্রকাশ। করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ভোটের প্রচারের ক্ষেত্রে একাধিক নির্দেশিকা জারি করেছিল কমিশন। রাজনৈতিক দলগুলিকে ডিজিটাল প্রচারে জোর দিতে বলা হয়। তা সত্ত্বেও বিধাননগরের ঘটনায় উত্তেজনা চরমে।

[আরও পড়ুন: সরকারি জমিতে থাকা ধর্মীয় কাঠামো সরাতে হবে, ৮ জেলাশাসককে নির্দেশ নবান্নের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement