জ্যোতি চক্রবর্তী: শিক্ষক দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। এরই মধ্যে ভুয়ো শিক্ষাকর্মীর তালিকায় মিলল আরও এক বিজেপি (BJP) নেতার নাম। যদিও বিজেপি নেতার দাবি, সঠিকপথেই চাকরি হয়েছে তাঁর। সমস্ত কাগজপত্র রয়েছে।
শিক্ষক দুর্নীতির অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। জল গড়িয়েছে আদালতে। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে প্রকাশ্যে এসেছে ভুয়ো চাকরি প্রার্থীদের নাম। একাধিক চাকরি বাতিল হয়েছে। এবার সেই তালিকায় নাম বনগাঁর বিজেপি নেতা গোবিন্দ বিশ্বাসের। ওই বিজেপি নেতা বোয়ালদহ হাই স্কুলে কর্মরত। গোবিন্দ বিশ্বাস ও তাঁর স্ত্রী একাধিকবার বিজেপির হয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করেছেন। সেই গোবিন্দের নাম ভুয়ো শিক্ষকের তালিকায় ওঠাতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
[আরও পড়ুন: জন্মদিনে স্বামীর কাছে সারপ্রাইজ গিফ্ট চেয়ে পাননি, অভিমানে কোলের শিশুকে ফেলে আত্মঘাতী বধূ]
এ প্রসঙ্গে গোবিন্দ বিশ্বাস বলেন, “আমার নাম তালিকায় দেখে আমি অবাক হয়েছি। আদালতের উপর ভরসা রয়েছে। আদালত আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য একটা সুযোগ দিয়েছে। আদালত আমি উপযুক্ত প্রমাণ অর্থাৎ যা কাগজপত্র আছে তা নিয়ে যাব।”
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠছিল। বেআইনি পথে বহু মানুষ চাকরি পেয়েছেন এমন অভিযোগ তুলে আইনের দ্বারস্থ হন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। সেই মামলাকে কেন্দ্র করে একের পর এক প্রকাশ্যে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। দুর্নীতিতে জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার করা হয়েছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, প্রাক্তন উপদেষ্টা কমিটির সদস্য এসপি সিনহা, অশোক সাহা, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, মানিক ভট্টাচার্যকে।