সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এলপিজি কেলেঙ্কারিতে ফের বিজেপি নেতা সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে জেরা করলেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। এর আগেও তাঁকে কয়েকবার জেরা করেন কলকাতা পুলিশের জোড়াসাঁকো থানার পুলিশ। বুধবার দুপুরে ফের তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয় জোড়াসাঁকো থানায়। তারপর তাঁকে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে জেরা করেন গোয়েন্দারা। তবে ভবিষ্যতে ফের তাঁকে জেরার জন্য ডাকা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) সুব্রত চট্টোপাধ্যায় পুলিশকে জানিয়েছেন, উজ্জ্বলা গ্যাস যোজনায় দুর্নীতির বিষয়ে দলেরই এক প্রাক্তন নেতা তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন। বিষয়টি পরে অবগত হন তিনি। তবে এর সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, রাজ্য বিজেপির প্রতিনিধি হিসাবে কেন্দ্রের উজ্জ্বলা যোজনার প্রকল্পের দায়িত্বভার ছিল রঞ্জিত মজুমদার নামে এক নেতার উপরে৷ অভিযোগ, গ্যাসের ডিলারশিপ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়েছেন তিনি৷ উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলিতে উজ্জ্বলা যোজনায় গ্যাস পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে বিজেপি কর্মী ও সাধারণ গ্রামবাসীদের থেকে টাকা তুলেছেন তিনি। টাকা দিলেও পরবর্তী সময়ে গ্যাস পাননি কেউই৷ ধৃত বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জমা পড়ে দলের রাজ্য দপ্তরে। দলীয়স্তরে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়। সেই তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী পরে তাঁকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়৷ এবিষয়ে লালবাজারে অভিযোগ দায়ের করেন প্রতারিতরা। গত সেপ্টেম্বর মাসে তাঁকে লালবাজার থেকে তলব করা হয়। তারপরই গ্রেপ্তার করা হয় রঞ্জিত মজুমদারকে৷
[এলপিজি কেলেঙ্কারিতে গ্রেপ্তার বিজেপি নেতা রঞ্জিত মজুমদার]
গ্রেপ্তারির আগে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দলের একাধির শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগে সরব হয় ওই নেতা। তাঁর অভিযোগ, তিনি নির্দোষ। দলের শীর্ষ নেতারা এই কেলেঙ্কারির সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। সেই নেতাদের মধ্যে সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের উল্লেখ ছিল। বর্তমানে বঙ্গ বিজেপির সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন সুব্রত। তাই যথারীতি এলপিজি কেলেঙ্কারিতে তাঁকে বারবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানোয় অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির।
The post এলপিজি কেলেঙ্কারিতে বিজেপি নেতা সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে জেরা পুলিশের appeared first on Sangbad Pratidin.