শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: পুলিশের বিরুদ্ধে ফের বিস্ফোরক সায়ন্তন বসু (Sayantan Basu)। উত্তরবঙ্গের এক বিজেপি বিধায়ককে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য জেলার পুলিশ সুপার চাপ দিচ্ছেন বলেই অভিযোগ তাঁর। ওই পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লেখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সায়ন্তন বসু অভিযোগ করে বলেন, “উত্তরবঙ্গের এক জেলার পুলিশ সুপার বিজেপি বিধায়ককে ডেকে তৃণমূলে যোগদান করতে বলছেন। আমরা ওই পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে জানিয়েছি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লিখে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।” তাঁর আরও অভিযোগ, “অনেক পুলিশকর্মী আছেন যাঁদের কালীঘাটে গিয়ে প্রসাদ দিয়ে আসতে হয়। দক্ষিণা দিতে হয়। কালীঘাটে নতুন মন্দির হয়েছে সেটা মায়ের মন্দির নয়। সেটা পিসির মন্দির। কোন কিছু করতে গেলেই প্রসাদ দিতে হয়। এখানে অনেক পুলিশ অফিসারকে বখরা পাঠাতে হয়।” সায়ন্তন বসুর হুঁশিয়ারি, “আর ছ’মাস খেয়ে খাইয়ে নিন। তারপর ব্যবস্থা হবে।”
[আরও পড়ুন: রেকর্ড সংক্রমণ বাংলায়, দৈনিক করোনা আক্রান্তের নিরিখে শীর্ষে উৎসব মুখর কলকাতা]
এদিকে, দুর্নীতির অভিযোগকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার সায়ন্তন বসুর নেতৃত্বে জলপাইগুড়ি অরবিন্দ গ্রামপঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। বিজেপির অভিযোগ, সেই সময় বিনা প্ররোচনায় মিছিলের উপর হামলা করে তৃণমূল। যার জেরে বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী-সমর্থক গুরুতর জখম হন। বিজেপির মিছিলের সামনে থাকা টোটো, রিক্সা ভেঙে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে পুলিশের উপর হামলা করা হয়। যার জেরে গুরুতর জখম হন ধূপগুড়ি থানার এক পুলিশ আধিকারিক। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি কর্মীরা পরিকল্পনা করে পঞ্চায়েত অফিসে উপস্থিত থাকা তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা চালায়। এ প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, “পুলিশকে ব্যবহার করে রাজ্যের সর্বত্রই শাসক দলের দুষ্কৃতীরা বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। মানুষ বেশিদিন এই সব সহ্য করবে না। মানুষই এর বিরুদ্ধে জবাব দেবে।”