রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: যতদিন যাচ্ছে, প্রকট হচ্ছে বিজেপির অন্তর্কলহ। সম্প্রতি বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের। খানিকটা তাঁর পথ অনুসরণ করেই দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়েন বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়। এবার এই তালিকায় নবতম সংযোজন শঙ্কুদেব পাণ্ডা। জানা গিয়েছে, বিজেপির যুব মোর্চার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন তিনি।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে বাংলায় প্রকট হয়েছে গেরুয়া শিবিরের (BJP) ভাঙন। বিজেপি ছেড়ে অনেকেই নাম লিখিয়েছেন শাসকদলে। আবার একাধিক তারকা মুখ সরে দাঁড়িয়েছেন রাজনীতি থেকেও। এমন পরিস্থিতিতে নতুন করে পদ্মশিবিরের অস্বস্তি বাড়ালেন বঙ্গ বিজেপির যুব মোর্চার সহ-সভাপতি শঙ্কুদেব। রবিবারই জানা যায়, তিনি ওয়েস্টবেঙ্গল বিজেপি যুব মোর্চার গ্রুপ থেকে বেরিয়ে যান। যদিও এ নিয়ে এখনও পর্যন্ত তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
[আরও পড়ুন: খাস কলকাতায় অটোচালকের মাথা থেঁতলানো দেহ উদ্ধার, পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ, আনন্দপুরে চাঞ্চল্য]
কৈলাস বিজয়বর্গীয়র হাত ধরেই ঘাসফুল শিবির ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শঙ্কুদেব। বিজেপির তরফে কলকাতা জোনের দায়িত্বও পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শোনা যাচ্ছে, বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই গেরুয়া নেতৃত্বের সঙ্গে সেভাবে যোগাযোগ ছিল না শঙ্কুদেবের। আর এবার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে দলত্যাগের জল্পনা উসকে দিলেন তিনি। গ্রুপ ছাড়া প্রসঙ্গে বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি ইন্দ্রনীল খান বলেন, “করোনা পরিস্থিতিতে আপাতত বিজেপি কর্মীরা মানুষের পাশে দাঁড়াতে ব্যস্ত। এখন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের দিকে তাকানোর সময় পাচ্ছি না। গ্রুপ থেকে বেরিয়ে যাওয়াটা কোনও টেকনিক্যাল কারণেও হতে পারে। তবে বিদ্রোহের কথা শুনিনি। আপাতত এসবের সময়ও নেই।”
প্রসঙ্গত, নতুন বছরের শুরুতেই গেরুয়া শিবিরর সমস্ত হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ করেছিলেন কেন্দ্রীয় জাহাজ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী তথা মতুয়া সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। শান্তনু জানিয়েছিলেন, “বিজেপির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপগুলি থেকে আমি বেরিয়ে গিয়েছি। কেন বেরিয়ে গেলাম আগামিদিনে বিস্তারিত জবাব দেব।” এরপরই দেখা যায়, অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায়ও দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়েন। নতুন করে প্রকাশ্যে আসে দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) সঙ্গে তাঁর সংঘাত। এবার শঙ্কুদেব পাণ্ডাও একই পথে হেঁটে গেরুয়া শিবিরের অস্বস্তি বাড়ালেন।