বিশেষ সংবাদদাতা, নয়াদিল্লি: দেশের করোনা পরিস্থিতিতে দল কতটা কাজ করছে সেই রিপোর্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) হাতে তুলে দিলেন বিজেপির সাধারণ সম্পাদকরা। বিজেপির সাধারণ সম্পাদকদের দু’দিনের বৈঠকের প্রথম দিন শনিবার প্রধান আলোচ্য বিষয় ছিল দেশের বর্তমান করোনা পরিস্থিতি।
করোনা আবহে জনসংযোগের লক্ষ্যে বিজেপি (BJP) ‘সেবা হি সংগঠন’ কর্মসূচি নিয়েছিল। সেই কর্মসূচির আওতায় কোন রাজ্যে দল কী কাজ করেছে, তা নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়েছে এদিন। পাশাপাশি, আগামীদিনে কোন রাজ্যগুলিতে এই কর্মসূচি রূপায়ণের ক্ষেত্রে বেশি নজর দেওয়া হবে সেই পরিকল্পনাও এদিনের বৈঠকে হয়েছে। শনিবারের বৈঠক শেষে ‘সেবা হি সংগঠন’ কর্মসূচি সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য এবং আগামিদিনের পরিকল্পনার বিশদ রিপোর্টই মোদিকে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
দলের সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র একটি টুইট এদিনের আলোচনার সারাংশ বলে মনে করা হচ্ছে। তিনি লিখেছেন, “করোনার (Coronavirus) চ্যালেঞ্জের মধ্যেও জনসেবার কাজে সমর্পিত রয়েছে বিজেপি। সেবা হি সংগঠনের মাধ্যমে সেবা দিবসে ৩৩টি রাজ্যের ১ লক্ষ ৫৩ হাজারের বেশি গ্রামে সেবাকার্য করা হয়েছে। দলের ৬৬,৭০৬ কার্যকর্তা রক্তদান করেছেন। দরিদ্রদের নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী বণ্টন করা হয়েছে।”
[আরও পড়ুন: জন্মদিনে টুইটারে যোগী আদিত্যনাথকে শুভেচ্ছাই জানালেন না মোদি!]
রবিবার বৈঠকের দ্বিতীয় দিনে বাংলার নির্বাচনী ফল নিয়ে আলোচনা হবে। পাঁচ রাজ্যের ভোটের পরে শনিবারই প্রথম বৈঠকে বসেন বিজেপির কেন্দ্রীয় পদাধিকারীরা। সঙ্গে আগামী বছরে দেশের বৃহত্তম রাজ্য উত্তরপ্রদেশ, মোদির নিজের রাজ্য গুজরাট (Gujarat) মিলিয়ে মোট সাত রাজ্যের নির্বাচন রয়েছে। এই বিধানসভা নির্বাচনগুলিকে দেখা হচ্ছে চব্বিশের লোকসভার সেমিফাইনাল হিসেবে। তার আগে প্রস্তুতিতে কোনও খামতি রাখতে চায় না গেরুয়া শিবির। রবিবার আগামিদিনের গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনগুলির রণকৌশলের বিষয়েও আলোচনা হবে। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার (JP Nadda) নেতৃত্বে এই বৈঠকে দলের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বি এস সন্তোষের পাশাপাশি কৈলাস, ভূপেন্দ্র যাদব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিবপ্রকাশ প্রমুখও হাজির ছিলেন।