সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে প্রকাশ্য সমাবেশ থেকে পুলিশকে হুমকি দিয়ে গেলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। সোমবার পুরুলিয়া শহরের ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “নিরপেক্ষভাবে কাজ করবেন। তাহলে পুলিশ পুলিশের মত সম্মান পাবেন। আর যদি তৃণমূলের ক্যাডারের মত কাজ করতে আসেন তাহলে মাথার টুপির অশোক স্তম্ভটা খুলে রেখে ওখানে হাওয়াই চটি লাগিয়ে আসবেন।”
কেন্দ্রের জনমুখী প্রকল্পকে তুলে ধরা, সেই সঙ্গে শাসকদল তৃণমূলের বেনিয়মের প্রতিবাদে জেলার চারটি পয়েন্ট থেকে রবিবার পদযাত্রা শুরু হয়। এই পদযাত্রাকে নীতিযাত্রা নাম দিয়ে সোমবার পুরুলিয়া শহরের ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে এই কর্মসূচি শেষ হয়। এদিন সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, “মাথায় অশোক স্তম্ভের টুপি ছাড়া মাথায় চটি পরে আসলে, আমরা হাওয়াই চটির কীভাবে ব্যবস্থা করতে হয় জানি।”
[আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশনের সামনে বিক্ষোভ মামলায় জামিন ইমরান খানের, এখনও ঝুলে অন্য মামলা]
আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে পুরুলিয়ায় বিজেপি ভাল ফল করবে। সেই সঙ্গে পুরুলিয়া জেলা পরিষদ বিজেপি দখল করবে বলে জানান। তাঁর কথায়, “শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আমি আসব, আপনাদের সাথে একসাথে পাত পেড়ে আমরা খিঁচুড়ি খাব।“ এদিন প্রায় আধঘন্টার বক্তব্যে প্রথম থেকেই শাসক দল তৃণমূলকে আক্রমণ করেন। চাকরি দুর্নীতি নিয়ে এদিন বারেবারে রাজ্য সরকারকে তুলোধনা করেন ।
পুরুলিয়ার মানবাজারের বিধায়ক তথা রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন বিভাগের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রমন্ত্রী সন্ধ্যারানী টুডুর প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, “মন্ত্রী নিজের ছেলে-সহ আত্মীয়দের চাকরি দিয়েছেন।” জেলার প্রাক্তন মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো এবং বাঘমুন্ডির বিধায়ক সুশান্ত মাহাতোকেও নিশানা করেন তিনি। বলেন, “এরাও সিবিআই, ইডির নজরে রয়েছেন। কয়লা পাচারে লাভ পেয়েছেন এরা।” এদিন পদযাত্রাতে পায়ে পা মেলান বিজেপি সভাপতি। পদযাত্রা ও সমাবেশে ছিলেন বিজেপির রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক তথা পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো।