সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কৃষ্ণনগরের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীর মৃত্যুতে এখনও ধোঁয়াশা অব্যাহত। সিট গঠন করে তদন্ত করছে পুলিশ। নেওয়া হচ্ছে সিআইডির সহযোগিতাও। তবে তদন্তে খুশি নন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার সকালে 'রানিমা' অমৃতা রায়কে সঙ্গে নিয়ে নিহতের বাড়িতে যান তিনি। ছাত্রীর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। আইনি সহযোগিতার আশ্বাসও দেন তিনি।
শুভেন্দু বলেন, "আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি ময়নাতদন্তে আত্মহত্যা বলে লেখা থাকবে। যেহেতু তৃণমূলের চিকিৎসকরা এই ময়নাতদন্ত করিয়েছে, সেই কারণে পুলিশ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করবে। তবে আমি বলছি ওই তরুণীকে খুন করা হয়েছে। এবং এই ঘটনায় একাধিক অভিযুক্ত রয়েছে। পরিবার যা দাবি করছে, আমরা সেই দাবি মতো কাজ করার চেষ্টা করব। আমি বলছি একজন অভিযুক্তও ছাড়া পাবে না।" তরুণীর পরিবারকে আইনি সহযোগিতার আশ্বাস দেন বিরোধী দলনেতা।
উল্লেখ্য, গত ১৬ অক্টোবর, বুধবার সকালে কৃষ্ণনগরের পুলিশ সুপারের অফিস থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে একটি পুজো মণ্ডপের সামনে থেকে অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তার পরিচয় জানা যায়। অভিযোগ, দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন এবং খুনের পর প্রমাণ লোপাটে মুখ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় ছাত্রীর প্রেমিক রাহুল বসুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সিট গঠন করে তদন্ত শুরু হয়েছে। যদিও পুলিশে আস্থা নেই বলেই দাবি নির্যাতিতার পরিবারের। সিবিআই তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার ভাবনায় নিহতের পরিজনেরা। টালমাটাল পরিস্থিতির মাঝেই এই খুনের ঘটনায় এবার তদন্তকারী অফিসার বদল করা হল। এই মামলায় তদন্তকারী অফিসারের দায়িত্বে ইন্সপেক্টর কৌশিক সাউ। শুক্রবার নিহতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন সাংসদ মহুয়া মৈত্রও।