বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: যারা বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছেন, তাদের কালীঘাটে নিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার নদিয়ার রানাঘাটের সভা থেকে একথাই বলেন তিনি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নাম না করে ডাকাত বলেও কটাক্ষ বিরোধী দলনেতার।
চলতি মাসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রানাঘাটে সভা করেন। তার পালটা সভা হিসাবে এদিন ওই জায়গায় যান শুভেন্দু অধিকারী। এদিনের জনসভার মঞ্চ থেকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সুর চড়ান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক। তিনি বলেন, “চাকরি যাওয়ার তালিকার উদ্বোধন হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে ২০-২৫ হাজারে পৌঁছবে। তাদের আমরা জড়ো করব কলকাতায় গান্ধীমূর্তির নিচে। বলব টাকা ফেরতের দাবিতে হেঁটে হেঁটে কালীঘাট চলো। ঘুষের টাকা ফেরত চাই। পিসি-ভাইপো টাকা দাও।”
[আরও পড়ুন: বিকাশ ভবনে আচমকা হানা সিবিআইয়ের, বাজেয়াপ্ত গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র]
শুভেন্দুর নিশানায় ছিলেন শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শুভেন্দুর দাবি, সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেও পার্থ ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতার বোন শিক্ষিকার চাকরি পেয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘একটা সরকারের দেড় বছরে একের পর এক দুর্নীতি সামনে আসছে। বাংলার বেকার যুবক-যুবতীদের একটার পর একটা চাকরি বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। কীভাবে ক্লাস ফাইভ পাস করা কেউ শিক্ষক হলেন?’’
আগামী বছরেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। ভোটাভুটিকে পাখির চোখ করে এগোচ্ছে শাসক-বিরোধী উভয় দল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এদিনের সভা থেকে শুভেন্দু আরও একবার রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট লুঠ করার অভিযোগে সরব হন। শুভেন্দুর কথায়, “ভোট লুঠ করে ২০১৮-য় পঞ্চায়েত ভোটে জিতেছিল তৃণমূল।” আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে মানুষের ভোটে জয়ী হয়ে বিজেপি রাজ্যের ক্ষমতা দখল করবে বলেই আত্মবিশ্বাসী নন্দীগ্রামের বিধায়ক। যদিও শুভেন্দুর মন্তব্যে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল। ‘ডিসেম্বর ডেডলাইন’কে উদাহরণ হিসাবে উল্লেখ করে ঘাসফুল শিবিরের দাবি শুভেন্দুর বক্তব্য সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।