বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: বামেদের সঙ্গে আসনরফা নিয়ে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন সোমেনপুত্র রোহন মিত্র। এই পরিস্থিতিতে সোমেনপত্নী শিখা মিত্রের সঙ্গে সাক্ষাৎ সারলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। সাক্ষাৎ ঘিরে তুঙ্গে উঠেছে দলবদলের জল্পনা। যদিও শিখা এখনও দল বদলের সিদ্ধান্ত নেননি বলেই জানিয়েছেন প্রয়াত কংগ্রেস নেতার ছেলে রোহন মিত্র।
রবিবারই দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন সোমেন পুত্র রোহন। বলেছিলেন, আসনরফা করতে গিয়ে উত্তর কলকাতা থেকে কংগ্রেস দলটিকে প্রায় মুছে ফেলা হচ্ছে। এর পরই ব্রিগেড সমাবেশ থেকে সোমেন মিত্রের বাড়িতে যান শুভেন্দু অধিকারী। সোমেন জায়া শিখা মিত্রের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা হয় তাঁর। মধ্য কলকাতার চৌরঙ্গী আসন থেকে নির্বাচনে লড়ার প্রস্তাবও দেন শিখা মিত্রকে। তবে সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে এখনও কিছু ভাবনাচিন্তা করেননি বলেই জানিয়েছেন শিখা।
[আরও পড়ুন : প্রতি সপ্তাহে প্রভাবশালীদের টাকা পৌঁছে দিতেন ধৃত বামাপদ! কয়লা কাণ্ডে প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য]
এ প্রসঙ্গে সোমেন মিত্রের ছেলে রোহন জানিয়েছেন, “মায়ের সঙ্গে অনেকক্ষণ কথা হয়েছে। প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন শুভেন্দু। ওঁর সঙ্গে আমাদের যোগযোগ রয়েছে। থাকবেও কিন্তু এখনই বিজেপিতে যাওয়ার ভাবনা নেই। যেতে হলে তো আগেই যেতে পারতাম। তবে রোহন স্পষ্ট করে দিয়েছেন, কংগ্রেসে তিনি ও তাঁর মা শিখা মিত্র ‘অপমানিত’। সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় চেয়েছেন শিথা। এই সাক্ষাতের পরই কি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন শিখা ও রোহন? তা নিয়ে ইতিমধ্যে জল্পনা তৈরি হয়েছে।
অধীররঞ্জন চৌধুরী প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে বসার পর থেকেই ক্রমশ সোমেন মিত্রের পরিবারের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বাড়ছিল। মধ্য কলকাতার বদলে বাঁকুড়ার পর্যবেক্ষক করায় ক্ষুব্ধ রোহন। তাঁর কথায়, “বাবার মৃত্য়ুর পর অধীর আমাকে বলেছিলেন মায়ের সঙ্গে সঙ্গে থাকতে। এখন তিনিই আমাকে বাঁকুড়া পাঠাচ্ছেন। এ কীরকম দ্বিচারিতা!” এদিকে বামদের সঙ্গে আসনরক্ষায় সোমেন গড়েও প্রার্থী দিতে পারেনি কংগ্রেস। যা নিয়ে টুইটারে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন রোহন। এর মাঝেই শুভেন্দুর সঙ্গে শিখার সাক্ষাৎ দলবদলের জল্পনা আরও উসকে দিল।