সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘ট্রেনে বোমা আছে।’ রাত ৯.৪০ নাগাদ উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) ললিতপুরে খাজুরাহো কুরুক্ষেত্র এক্সপ্রেস ঢুকতেই চেঁচিয়ে উঠলেন এইচএ-১ বগির হাই প্রোফাইল যাত্রী তথা বিজেপি (BJP) সাংসদ উমা ভারতী (Uma Bharti)। তাঁর কথা শুনেই দৌড়ে আসে রেল পুলিশ। সঙ্গে থাকা রক্ষীরাও বোমা খুঁজতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। বৃহস্পতিবার রাতে উমা ভারতী বোমাতঙ্ক ছড়ানোর ফলে চাঞ্চল্য ছড়ায় স্টেশনজুড়ে।
ঠিক কী হয়েছিল? জানা যাচ্ছে, ট্রেন যখন ললিতপুরের কাছে তখনই বিজেপির বর্ষীয়ান নেত্রীর মনে আশঙ্কা তৈরি হয় ট্রেনে বোমা রাখা আছে। তিনি দ্রুত রেলপুলিশকে সতর্ক করেন। এরপরই হইহই শুরু হয়ে যায়। সম্ভাব্য দুর্ঘটনা এড়াতে কোনও রকম ঝুঁকিই নিতে চায়নি আরপিএফ ও জিআরপি। ট্রেন থেকে সমস্ত যাত্রীকে নামিয়ে যৌথভাবে চিরুনি তল্লাশি চালানো হয়। যদিও কিছুই পাওয়া যায়নি।
বোমাতঙ্কের জেরে তল্লাশির জন্য প্রায় দু’ঘণ্টা অর্থাৎ রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ট্রেন দাঁড়িয়েছিল ওই স্টেশনেই। রেল সূত্রের খবর, পরে ঝাঁসিতেও একইভাবে ফের তল্লাশি চালানো হয়। বিজেপি সাংসদের নিরাপত্তাও বাড়িয়ে দেয় রেল পুলিশ। কিন্তু সৌভাগ্যবশত গোটা যাত্রাপথেই অনভিপ্রেত কোনও কিছু ঘটেনি। নির্বিঘ্নেই গন্তব্যে পৌঁছন উমা।
[আরও পড়ুন: ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল বিহারের কারখানা, প্রাণ গেল অন্তত ৫ শ্রমিকের]
মধ্যপ্রদেশের টিকমগড় থেকে দিল্লি যাচ্ছিলেন উমা ভারতী। উল্লেখ্য, মধ্যপ্রদেশে পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যের জনসংখ্যার বিচারে অনগ্রসর শ্রেণির জন্য ৭০ শতাংশ সংরক্ষণ না রাখা অবিচার হবে বলে গত সপ্তাহেই প্রতিবাদে নেমেছিলেন উমা ভারতী। তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের আরজি জানিয়েছিলেন, এই ব্যাপারটি নিশ্চিত না করে যেন নির্বাচন না হয় মধ্যপ্রদেশে। এই পরিস্থিতিতে গত শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যের নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেয়, নির্বাচনী প্রক্রিয়া স্থগিত রাখতে।