সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গাছ থেকে ঝুলন্ত বিজেপি (BJP) নেতার দেহ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir)। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের কাঠুয়া জেলার হীরানগর এলাকায় বিজেপি নেতা সোম রাজের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গত তিন দিন ধরনে নিখোঁজ ছিলেন ওই নেতা। তাঁর পরিবার ও বিজেপির অন্য নেতাদের দাবি, খুন করা হয়েছে সোম রাজকে।
জানা গিয়েছে, সকালে হীরানগরের এক বাসিন্দা ওই বিজেপি নেতার মৃতদেহটি দেখতে পান। তাঁর দেহে দাগ ছিল পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের। দেহটি ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে হাসপাতালে। ইতিমধ্যেই পুলিশ একটি মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।
[আরও পড়ুন: পুজোয় অনুদানের ২৫৮ কোটিতে কী কী উন্নতি হত রাজ্যে? হিসাব দিল BJP, পালটা জবাব তৃণমূলের]
মৃত বিজেপি নেতার পরিবারের অভিযোগ, এটা আত্মহত্যা নয়। খুন করে তারপর ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে দেহটি। খবর পেয়ে সোম রাজের বাড়ি পৌঁছন বহু বিজেপি নেতা। তাঁদের দাবি, এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হোক। সব মিলিয়ে ওই অঞ্চলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এই মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে।
উল্লেখ্য, বেশ কিছুদিন ধরে কাশ্মীরে ফের শুরু হয়েছে ‘টার্গেট কিলিং’। জঙ্গিরা বেছে বেছে হয় কাশ্মীরি পণ্ডিতদের, নয় পরিযায়ী শ্রমিকদের টার্গেট করছে। গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকজন কাশ্মীরি পণ্ডিতকে প্রাণও দিতে হয়েছে। প্রশাসনের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়েছে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের। তারই মধ্যে এবার এক বিজেপি নেতার মৃত্যুতে সম্প্রতি বাড়তে থাকা হিংসার ঘটনায় নতুন করে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করল।
কাশ্মীরে যে নতুন করে জঙ্গি হামলা ও অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটছে তা শোনা গিয়েছে। পাক ড্রোনের মাধ্যমে কাশ্মীর সীমান্তে অস্ত্র সরবরাহ করা হচ্ছে, এই খবর আসছে পুলিশের কাছে। এদিকে গত সপ্তাহেই পুলিশের থেকে আগ্নেয়াস্ত্র কেড়ে নিয়ে হামলা চালানোর চেষ্টা করে এক লস্কর (Lashkar-E-Taiba) জঙ্গি। পালটা গুলিতে জখম হওয়ার পরে মৃত্যু হয় তার। এখন দেখার, ওই বিজেপি নেতার মৃত্যুর সঙ্গেও জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির কোনও যোগ আছে কিনা।