রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: বাবুল সুপ্রিয়র (Babul Supriyo) দলবদল ঘিরে তোলপাড় বঙ্গ রাজনীতি। কেউ বলছেন, বিশ্বাসঘাতকতা করলেন বাবুল, তো কারোর দাবি, ক্ষমতার লোভে দল ছাড়লেন। কেউ কেউ অবশ্য মুখ খুলতেই চাননি। বিশেষ ডিলের জন্য বাবুলের দলবদল এতদিন আটকে ছিল এমনই দাবি করছেন বিজেপির একাংশ। সবমিলিয়ে বাবুলের এই ‘ফুলবদল’ গেরুয়া শিবিরের অন্দরেই ঝড় তুলে দিয়েছে।
শনিবার দুপুরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) এবং ডেরেক ও’ব্রায়েনের হাত ধরে তৃণমূলে (TMC) এসেছেন বাবুল। এর পর কয়েক ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের প্রতিক্রিয়া মেলেনি। বরং জানিয়েছেন, “যা বলার কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বলবেন।” তবে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিজেপির প্রাক্তন কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা। বলছেন, “একটা দলের হয়ে ভোট চেয়েছিলেন বাবুল। সেই জনাদেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করলেন তিনি। কোনও পদ না পেলেই যে দল বদলাতে হবে, এটা গণতন্ত্রে কাম্য নয়। গণতন্ত্র এমন রাজনীতিকে সমর্থন করে না।” এর পরই প্রাক্তন সতীর্থকে তাঁর প্রশ্ন, তাহলে কি পদের জন্যই রাজনীতি?
[আরও পড়ুন: কেন তৃণমূলে বাবুল সুপ্রিয়? যোগদানের পরই জানালেন কারণ, রইল তাঁর মন্তব্যের ১০ পয়েন্ট]
এদিকে ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্যই বাবুলের দলবদল বলে দাবি করছেন বিজেপির সাংসদ জগন্নাথ সরকার। বলছেন, “নিজের স্বার্থেই দল বদলালেন। খুব খারাপ সিদ্ধান্ত।” একই কথা বলছেন রাজ্য বিজেপির অন্যতম মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। তাঁর কথায়, “এটা প্রমাণ হয়ে গেল বাবুলের একমাত্র লক্ষ্য ছিল মন্ত্রী হওয়া। পদ না পেয়েই দল বদলে ফেললেন। বিজেপি তাঁকে দু’বার মন্ত্রী করেছিল। এভাবেই ও তার প্রতিশোধ নিল।” তবে ২০২৪ সালে আসানসোলে পদ্মফুল ফুটবেই, আত্মবিশ্বাসী শমীক। বাবুলের দলবদলের নিন্দা করেছেন আরেক সাংসদ অর্জুন সিং-ও।
তবে এই দলবদলের পিছনে অন্য ‘ডিল’ রয়েছে বলে দাবি করেছেন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা। ফেসবুকে তাঁর কটাক্ষ, “তার মানে ঝালমুড়ির রফা আগেই হয়ে গিয়েছিল। জাস্ট অপেক্ষা করা হচ্ছিল কীভাবে রাজ্যসভায় পাঠানো যায়। তাই হয়তো বেচারী অর্পিতাদেবীকে এত তড়িঘড়ি করে রাজ্যসভা ছেড়ে থিয়েটারে মন দিতে বলা।”