নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: অগ্নিপথ (Agnipath) নিয়ে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বোঝাতে হবে, অবিলম্বে কাজে নেমে পড়ুন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) এমনটাই চাইছেন। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে এই নির্দেশই পৌঁছে গিয়েছে দেশের সমস্ত রাজ্যের বিজেপি (BJP) দপ্তরে। কিন্তু মানুষকে কী বোঝাবেন, সেটাই বুঝতে পারছেন না অধিকাংশ বিজেপি নেতাই।
অগ্নিপথ নিয়ে বাড়ি বাড়ি প্রচার চালানো হবে বাংলাতেও। ইতিমধ্যেই বঙ্গ বিজেপির নেত্রী ও বিজেপির সর্বভারতীয় মুখপাত্র ভারতী ঘোষ রাজ্য বিজেপির পদাধিকারীদের নিয়ে একপ্রস্থ ভার্চুুয়াল বৈঠক করেছেন। সেখানেও অধিকাংশ নেতা এই প্রশ্নই করেছেন বলে সূত্রের খবর। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিজেপি নেতা এ প্রসঙ্গে বলেছেন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষকে কী বলব সেটাই তো বুঝে উঠতে পারছি না। তাদের তো এটাই প্রশ্ন হবে, চার বছর পরে আমাদের ছেলেদের কী হবে। এই প্রশ্নের উত্তর কী দেব। সত্যিই তো চার বছর পরে কে চাকরি পাবে, আর কে পাবে না তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। অগ্নিবীরদের ভবিষ্যৎ তো লটারির মতো। কারও ভাগ্যে শিকে ছিঁড়বে আর বাকিদের অনিশ্চিতই। তবে মোদির ইচ্ছেতে এই কাজে যে তাঁদের নামতেই হবে সে কথাও জানিয়েছেন ওই বিজেপি নেতা।
[আরও পড়ুন: টহলদারির সময় মাওবাদী হামলা, ওড়িশায় মৃত্যু ৩ সিআরপিএফ জওয়ানের, আহত অনেকে]
গত সপ্তাহে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) অগ্নিপথ প্রকল্প ঘোষণার পর থেকেই গণরোষের মুখে পড়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। ইতিমধ্যেই ১১ বার অগ্নিপথের বিভিন্ন নিয়মে বদল করেছে কেন্দ্র। প্রথম সারির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, তিন সেনাপ্রধান সকলেই অগ্নিপথের সুফল বোঝাতে মাঠে নেমেছেন কিন্তু তাতে চিঁড়ে ভেজেনি। তাই এবার দলের উপর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পরিস্থিতি সামলানোর।
[আরও পড়ুন: ‘BJP সাংসদ হিসেবেই কাজ চালিয়ে যাব’, বাবা যশবন্ত রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হওয়ার পর বললেন জয়ন্ত]
এর আগে ঠিক যেভাবে কৃষি আইন নিয়ে বিজেপি নেতারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষকে বোঝানোর কাজ করেছিলেন, এবারেও সেই একই কায়দায় প্রচার করা হোক বলেই মোদির ইচ্ছা। যদিও সেবারে কাজের কাজ কিছু হয়নি। মোদি সরকারকে বাধ্য হয়েই কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নিতে হয়েছে। যা মোদি সরকারের প্রথম সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হিসেবেই ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নিয়েছে। এবারেও কোনও লাভ হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে বিজেপি নেতাদের মনেই।