নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: রাষ্ট্রপতি পদে বিজেপির পছন্দ আদিবাসী নেত্রী দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। মঙ্গলবার বিজেপির পরিষদীয় দলের বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা।
সূত্রের খবর, এবারের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মহিলা ‘মুখ’কে সামনে রেখেই এগোতে চাইছিল বিজেপি (BJP)। রাইসিনা হিলসের দৌড়ে তাই অন্তত জনা তিনেক মহিলা ছিলেন। তামিলসাই সৌন্দরাজন, আনন্দীবেন প্যাটেল এবং দ্রৌপদী মুর্মু। এই তিন মহিলার নাম নিয়েই এদিন বিজেপির সংসদীয় বোর্ডের বৈঠকে আলোচনা হয়। যাতে উপস্থিত ছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi), স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah), এবং দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।
[আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী তৃণমূলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি ছিলেন, এটা বাংলার জন্য গর্বের ব্যাপার: অভিষেক]
দ্রৌপদী মুর্মু প্রার্থী হওয়ায় ওড়িশার শাসকদল বিজেডি যে বিজেপিকেই সমর্থন করবে তা প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেল। শুধু তাই নয় মুর্মুকে প্রার্থী করার ফলে বিরোধী শিবির থেকে আরও ভোট বিজেপির দিকে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল হিসাবে গত বছর পর্যন্ত কাজ করেছেন মুর্মু। সেখানকার শাসকদল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা নেতা শিবু সোরেন ও সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী শিবু-পুত্র হেমন্ত সোরেনের সঙ্গে মুর্মুর সম্পর্ক রীতিমতো ভাল। সেই সুবাদে তাদের ভোট বিজেপির ঝুলিতে আসতে পারে এমন সম্ভাবনাই প্রবল। মুর্মুকে রাষ্ট্রপতি প্রার্থী করা হলে একদিকে যেমন বিজেপির জয়ের পথ প্রশস্ত হবে আবার তেমনই রাজনৈতিক সুবিধা মিলবে তাদের। এতে ওড়িশায় বিজেপির শক্তি বৃদ্ধি হবে আবার আদিবাসী মুখকে রাষ্ট্রপতি করা হলে চলতি বছরের গুজরাট বিধানসভা নির্বাচন থেকে শুরু করে আগামী বছরের মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনেও সুবিধা পাবে বিজেপি। তাছাড়া শেষে যদি বিজেপি নিজেদের প্রার্থীকে জিতিয়ে আনতে পারেন তাহলে প্রথমবার কোনও আদিবাসী মহিলাকে রাষ্ট্রপতি পদে পাবে দেশ। যা প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তিকে আরও উজ্বল করবে।
[আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে মহাসংকটে শিব সেনা সরকার, সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর মুখে উদ্ধব! কী হচ্ছে? কী হতে পারে?]
যদিও দ্রৌপদীর লড়াই কঠিন হতে চলেছে। কারণ তাঁর বিরুদ্ধে বিরোধী শিবিরের প্রার্থী যশবন্ত সিনহা (Yashwant Sinha)। যিনি অন্তত রাজনৈতিক প্রজ্ঞা এবং অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে এনডিএ প্রার্থীর থেকে অনেকটাই এগিয়ে। যদিও শেষ পর্যন্ত যদি সত্যিই বিজেডি (BJD) দ্রৌপদীকে সমর্থন করেন এবং বিরোধী শিবিরের অন্য দলের ভোটে বিজেপি ভাগ বসাতে পারে, তাহলে অবশ্য তাঁদের প্রার্থীই লড়াইয়ে এগিয়ে থাকবেন।
প্রার্থী ঘোষণার পরই দ্রৌপদী মুর্মুকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি জানিয়েছেন,”সমাজসেবা এবং গরিবদের ক্ষমতায়নে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন মুর্মু। তাছাড়া প্রশাসন সম্পর্কে তাঁর অভিজ্ঞতাও অনেক। আমি নিশ্চিত উনি রাষ্ট্রপতি হিসাবে দুর্দান্ত কাজ করবেন।”