বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: প্রতিদিনই বিভিন্ন অছিলায় জমায়েত করছে বিরোধীরা। লকডাউনে কেন বিরোধীদের জমায়েত তা নিয়ে মুখ খুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জমায়েত নিয়ে বিরোধীদের কড়া সমালোচনা করেছেন তিনি। পালটা জবাব দিয়েছে বিরোধীরা। অন্যায় দেখলেই ফের পথে নামা হবে বলে জানিয়েছে বিজেপি-বাম ও কংগ্রেস।
“শ্রাবণী মেলা বন্ধ রয়েছে। বিয়ে বাড়িতে লোক ভিড় করছে না। তাহলে দলীয় জমায়েত কেন করতে হবে? রাজনৈতিক দল নিয়ম মানছে না। জমায়েত করছে। ভাঙচুর করছে। তাই এফআইআর করা হচ্ছে।” বলে শুক্রবার জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের বিরোধিতা করেছে ডান-বাম সকলেই। খড়গপুরে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের বিরোধিতা করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের দাবি, “কেন্দ্রের ঘোষণা মতো তিনমাস লকডাউন আমরা মেনে চলেছি। আমরা ঘর থেকে বেরোইনি। এখন তো বোঝাই যাচ্ছে লকডাউনটা কারা ভেঙেছে। ওদের নেতা-মন্ত্রী-বিধায়ক-চেয়ারম্যান সব আক্রান্ত হচ্ছেন। গৃহ সংকল্প যাত্রায় আমরা দু’তিনজন করে যাচ্ছি।” মহামারি রুখতে সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “কোথাও স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করা হচ্ছে না। এ রাজ্যে তো লকডাউন মানাই হয়নি। সরকারের উচিত কঠোরভাবে লকডাউন প্রয়োগ করা।”
[ আরও পড়ুন: করোনা আবহে এবছর বাতিল ২১ জুলাইয়ের শহিদ দিবস, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর ]
প্রয়োজন ছাড়া তাঁরা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছেন না বলে জানান কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্যর। তিনি বলেন, “সরকার যা ভাল বুঝবে করবে। কিন্তু প্রতিবাদের প্রয়োজন হলে রাস্তায় তো নামতেই হবে। অন্যায় দেখলে কংগ্রেস চুপ করে থাকবে না।” পুলিশ বিরোধী নেতৃত্বের বিরুদ্ধে যে মামলা করছে তার বেশিরভাগই মিথ্যা বলে অভিযোগ সিপিএম পলিটব্যুরোর সদস্য মহম্মদ সেলিমের। এমনকী বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্রদের বিরুদ্ধেও মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে অভিযোগ তাঁর। কার্যত হুমকির সুরে তিনি বলেন, “আমফানের টাকা লুট হচ্ছে। যতো লুট হবে, ততো জমায়েত বাড়বে।” বরং সোশ্যাল মিডিয়াতে যারা রাজনৈতিক বিষ ছড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নিক বলে দাবি করেন তিনি।
[ আরও পড়ুন: ১০ দিন পর শিশু মৃত্যুর খবর পেলেন বাবা-মা, অমিল দেহ, চূড়ান্ত ‘গাফিলতি’ আরজি কর হাসপাতালের ]
The post ‘অন্যায় হলে জমায়েত হবে’, লকডাউন ও আমফান নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে পালটা দিলেন বিরোধীরা appeared first on Sangbad Pratidin.