রুপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: প্রার্থী তালিকা ঘোষিত হতেই দফায় দফায় বিক্ষোভ। বিভিন্ন কেন্দ্রে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের আঁচ। সেসব সামাল দিতে গতকাল রাতভর রাজ্য নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। সঙ্গে ছিলেন বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা, বি এল সন্তোষ, কৈলাস, শিবপ্রকাশদের মতো নেতারা। কিন্তু সেই বৈঠকের পরও সমস্যা মেটার ইঙ্গিত মেলেনি। এই পরিস্থিতিতে আজই ফের দিল্লিতে তলব করা হয়েছে বিজেপির শীর্ষনেতাদের। দিল্লিতে ফের দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে জবাবদিহি করতে হবে রাজ্য নেতাদের। সেই সঙ্গে পরবর্তী দফাগুলির প্রার্থী তালিকা নিয়েও আলোচনা হতে। সূত্রের খবর, বাংলা দখলে এবার পুরোদমে ঝাঁপাচ্ছে বিজেপি। নিজেদের বার্তা জনমানসে পৌঁছে দিতে বিধানসভার প্রার্থী করা হতে পারে মুকুল রায় এবং দিলীপ ঘোষের মতো হেভিওয়েটকে।
বিজেপির হেভিওয়েটদের মধ্যে বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo), লকেট চট্টোপাধ্যায়, স্বপন দাশগুপ্ত, নিশীথ প্রামাণিকরা সাংসদ হওয়া সত্ত্বেও দলের নির্দেশে বিধানসভায় লড়ছেন। এবার আরও একধাপ উপরে উঠে খোদ দলের রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষকে প্রার্থী করার কথা ভাবা হচ্ছে। প্রার্থী করা হতে পারে দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়কেও (Mukul Roy)। বিজেপি সূত্রের খবর, দিলীপ ঘোষকে (Dilip Ghosh) বীরভূমের দুবরাজপুর আসন থেকে দাঁড় করানো হতে পারে। এই আসনে লোকসভার নিরিখে প্রায় ১৪ হাজার ভোটে এগিয়ে ছিল বিজেপি। সে হিসেবে গেরুয়া শিবির দুবরাজপুরকে সেফ সিট মনে করছে। আবার মুকুলকে কৃষ্ণনগর দক্ষিণ কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে ভাবা হচ্ছে। এই কেন্দ্রেও বিজেপি লোকসভার নিরিখে হাজার সাতেক ভোটে এগিয়ে। প্রসঙ্গত, মুকুল রায় শেষবার ২০০১ সালে বিধানসভায় লড়েছেন। সেবারে পরাস্ত হতে হয় তাঁকে। তারপর থেকে প্রত্যক্ষ নির্বাচনী রাজনীতির আড়ালেই থাকেন মুকুল। দিলীপ অবশ্য শেষ দুটি ভোটে লড়াই করেছেন।
[আরও পড়ুন: এবার কফি হাউসেও গেরুয়া সমর্থকদের ‘তাণ্ডব’! শহরে নিন্দার ঝড়, পালটা দিল বিজেপিও]
এসব নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি, দলের কোন্দল নিয়েও জবাবদিহি করতে হতে পারে বাংলার রাজ্য নেতাদের। ইতিমধ্যেই আজ সকালে প্রার্থী নিয়ে ক্ষোভ কেন তৈরি হল? কীভাবে প্রার্থী বাছাই করা হল? কেন স্থানীয় নেতৃত্বকে কনফিডেন্স এ নেওয়া হয়নি? ক্ষোভ সামাল দেওয়া যাচ্ছে না কেন? সংগঠনের উপরে কি নিয়ন্ত্রণ নেই? এমন নানা কঠিন প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে একাধিক শীর্ষ নেতাকে| অবিলম্বে সব ক্ষোভ বিক্ষোভ মিটিয়ে গোটা দলকে ময়দানে নামানোর জন্য কী করা দরকার, তা নিয়ে কথা হয়েছে|